বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সাহরির পরেই খোলে মার্কেট, রোদ উঠলেই বন্ধ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সাহরির পরেই খোলে মার্কেট, রোদ উঠলেই বন্ধ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রাম নগরের বড় বড় মার্কেটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু উপজেলার মার্কেটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ রাখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে খুলছে দোকান-মার্কেট। নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না উপজেলার ব্যবসায়ীদের। জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মেনে দোকান খোলা রাখার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন দিনের বেলায় অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু এখন প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অনেক ব্যবসায়ী ভোর বেলার মার্কেটিং শুরু করেছেন। সেহেরির পর থেকে ৯টা পর্যন্ত চলে এসব মার্কেট। গতকাল ভোর ৫টায় পটিয়া উপজেলা সদরের সবুর রোডে অভিযান চালিয়ে দুটি দোকানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

 

অন্যদিকে হাটহাজারী উপজেলার মদন হাট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কাপড়ের দোকান খোলা রাখায় ৬টি দোকান বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘গত মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনা করে ৬টি দোকান বন্ধ করা হয়। কিন্তু গতকাল আবারো কিছু ব্যবসায়ী দোকান খুলে ব্যবসা করছেন। এত অভিযানের পরও তাদের মানসিকতার পরিবর্তন নেই।’ 

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা বলেন, কয়েকদিন আগে দিনের বেলায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। কিন্তু তারা এখন কৌশল পরিবর্তন করে ভোর বেলা মার্কেটিং শুরু করেছে। খবর পেয়ে ভোর ৫টায় গিয়ে কিছু দোকান বন্ধ এবং দুটি দোকানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আসলে এভাবে কি করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদেরই আগে সচেতন এবং সতর্ক হতে হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরে প্রতিনিয়তই চলছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান। তাছাড়া মার্কেট সমিতিগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কেটগুলো বন্ধ রাখেন। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ের মার্কেটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। উপজেলায় একজন নির্বাহী কর্মকর্তা ও একজন সহকারি কমিশনার (ভূমি) অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। ফলে নগরের তুলনায় উপজেলা পর্যায়ের দোকান-মার্কেটগুলো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে কম থাকে। ফলে সেখানে চলছে অবাধ বিকিকিনি। আনোয়ারা উপজেলার চাতরি চৌমুহনী এলাকা, সদর, বাশখালীর পৌরসদর, বোয়ালখালী চৌমুহনী ও সি অফিস এালাকা, সাতকানিয়ার কেরানি হাট, লোহাগাড়া সদরসহ উপজেলা সদরের বড় জংশন ও মার্কেটগুলোতে চলছে ঈদ মার্কেটিং। কোথাও কোনো নিয়ম বা স্বাস্থ্যবিধিকে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। ফলে ঈদ মার্কেটকে সামনে রেখে করোনা নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর