বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে যোগ হলো ১০৫ শয্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় যোগ হচ্ছে আরও ১৫০ শয্যা। এর মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে ৫০ শয্যা ও চট্টগ্রাম  মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১০০ শয্যা। জেনারেল হাসপাতালে  গতকাল থেকে নতুন শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু হয়। চমেক হাসপাতালে আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এর আগে চমেক হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল। একই সঙ্গে সিআরবি রেলওয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালকেও করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। জানা যায়, চট্টগ্রামে বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউসহ ১০০ শয্যা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৩০ শয্যা এবং ৫০ শয্যার  বেসরকারি চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু চট্টগ্রামে প্রতিনিয়তই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

 গত  মঙ্গলবার একদিনেই চট্টগ্রামে ১৩২ জন আক্রান্ত হয়। শয্যা খালি নেই কোনো হাসপাতালে। সংকট দেখা দিয়েছে নতুন করে আক্রান্ত রোগীদের কোনো হাসপাতালে ভর্তি করান নিয়ে। অবস্থা এমন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে কাউকে ‘চিকিৎসা অসম্পন্ন’ রেখে হোম আইসোলেশনে পাঠিয়ে তার জায়গায় ভর্তি করা হবে নতুন রোগীকে। ফলে নতুন করে শয্যা প্রস্তুতের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘রোগীর বর্ধিত চাপ সামলাতে প্রথম দফায় জেনারেল হাসপাতাল ও চমেক হাসপাতালে ১৫০ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। দুটি প্রতিষ্ঠানেই রোগী ভর্তির সব প্রস্তুতি শেষ। তাছাড়া রেলওয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালকেও করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখানে প্রাথমিকভাবে ১০০ শয্যার করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে।’

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের ১০০ শয্যা প্রায় প্রস্তুত। আজ থেকে রোগী ভর্তি করা সম্ভব হবে। ৩০ জন চিকিৎসক দিয়ে ওয়ার্ডটির কার্যক্রম চলবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখানে একজন টানা ১০ দিন চিকিৎসা দিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন এবং ৬ দিন পরিবারে সঙ্গে থাকতে হয়। তাই এখানে জনবল বেশি দরকার।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর