বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে অসহযোগিতা করছে ব্যাংকগুলো

-শেখ ফজলে ফাহিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে অসহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। তিনি বলেছেন, ব্যাংকগুলো ১২ মাসে ১৩ বোনাস দেয়, কিন্তু করোনা সংকটে প্রধানমন্ত্রী-ঘোষিত প্যাকেজ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসছে না, বরং বাধাগ্রস্ত করছে। এটা মোটেই ঠিক নয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ১০ হাজার, ৫০ হাজার কিংবা ১ লাখ টাকা ঋণ দিতে ব্যাংকের অনীহা কেন- এমন প্রশ্নও তুলেছেন এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা। গতকাল আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় এ কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

এতে বক্তব্য দেন রিহ্যাব সভাপতি এফবিসিসিআই পরিচালক আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল, আনোয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন, এফবিসিসিআই পরিচালক মুনির হোসেন, সুজীব বোস, কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী নেতা খোরশেদ আলম প্রমুখ।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্যাটের হার কমিয়েছে। কিন্তু আমাদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্যাট কমাতে পারেনি। আমরা ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছি। করজাল বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছি। আগামী তিন বছর করপোরেট করহার কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছি। শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর বাতিলের প্রস্তাবও দিয়েছি।’ পাশাপাশি বৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা বিনিয়োগের সুযোগের কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউসিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সভাপতি এফবিসিসিআই পরিচালক আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল বলেন, ‘অর্থনীতি সচল করতে আগামী পাঁচ বছর বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত আয় আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ চাই। নৈতিকতার কথা বলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করবেন না। বাজেট বিনিয়োগবান্ধব হওয়া এবার খুবই জরুরি। দেশের অর্থনীতিতে টাকা ঘুরলে আবাসনসহ ২১১টি খাত ঘুরে দাঁড়াবে। আর আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়ালে দেশও করোনা সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। তাই দীর্ঘমেয়াদি গৃহঋণ দিতেই হবে এবারের বাজেটে।’

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ৮ শতাধিক আবাসন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিপদে আছে। তারা কতটুকু ব্যাংকের সহায়তা পাবে, তা চিন্তার বিষয়। আমাদের ক্রেতারা এখন কিস্তির টাকা দিচ্ছেন না। তারা নিজেদের হাতে টাকা ধরে রাখছেন। ফলে আবাসন খাত স্থবির হয়ে আছে। এ সংকট উত্তরণে ক্রেতাদের ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি স্বল্পসুদে ঋণ দিতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর