শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

পর্যটকহীন কুয়াকাটা

সঞ্জয় দাস লিটু, পটুয়াখালী

পর্যটকহীন কুয়াকাটা

ঈদুল ফিতর পরবর্তী সরকারি ছুটিতে যখন দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটকের পদচারণায় দিন-রাত মুখরিত থাকে কুয়াকাটা, ঠিক সেই মুহূর্তে পর্যটকশূন্য সৈকতে সুনসান নীরবতা। চিরচেনা সমুদ্র সৈকতে নেই পর্যটকদের কোলাহল। এমন নীরব নিস্তব্ধ কুয়াকাটা কখনো দেখেননি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এ যেন এক অচেনা কুয়াকাটা। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে স্থানীয় কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারী, লোকসানে পড়েছে মালিকরা। সব মিলিয়ে কয়েক শ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটকনির্ভর সব ব্যবসায়ী।

কিন্তু সবুজে ঘেরা কুয়াকাটার প্রকৃতি যেন নতুন করে ফিরে পেয়েছে তার সৌন্দর্য। স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীরা জানান, লকডাউনের কারণে কুয়াকাটায় পর্যটক শূন্যতায় প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে তার স্বরূপ। মনুষ্যসৃষ্ট (কৃত্রিম) বাধা-বিপত্তি নেই, তাই সৌন্দর্যভরা রূপে সেজেছে ইকোপার্ক, ফাতরার বন, নারিকেল বাগান, আমবাগান, পিকনিক স্পটসহ বেশ কিছু পর্যটন স্পট। যেখানে প্রকৃতি সেজেছে তার নিজস্বতায় এক মনোরম দৃশ্যে। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় মুখ থুবড়ে পড়েছে কুয়াকাটার ব্যবসা-বাণিজ্য।  পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, ট্যুরিস্ট বোট, ওয়াটার বাস, বিচ বাইক, ফটো (ক্যামেরা) ব্যবসায়ী, নিজস্ব পরিচালিত বিনোদনের পার্ক, বিভিন্ন খাবার, সাজগোজের দোকানিসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা জানায়, ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ আগে থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যেত কুয়াকাটায়। আর ঈদের পরের দিন থেকে কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে পর্যটক পরিপূর্ণ থাকে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। হোটেল-মোটেল শত ভাগ বুকিং হয়ে যায় ঈদের ১ মাস পূর্বে। আর সব ব্যবসায়ী বিকিকিনিতে ব্যস্ত থাকে দিন-রাত।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোশিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক কুয়াকাটা গেস্ট হাউজের স্বত্বাধীকারী আবদুল মোতালেব শরীফ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা পথে বসেছে। এখানে সব মিলিয়ে শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে- যার সবই দুই মাস ধরে বন্ধ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর