গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ও অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশসহ অপরিহার্য কিছু কার্যক্রম চালানোর জন্য সীমিত আকারে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে স্বল্প পরিসরে ন্যূনতম জনবল নিয়ে এই কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। গত ১৮ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সাময়িকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের পর ৯ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে উপাচার্য কার্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল অফিসের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এবার গবেষণাগার, লাইব্রেরি, সেমিনারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচ্ছন্নতাকরণ, অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশ, গবেষণা কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা প্রভৃতি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে অচিরেই চালু হচ্ছে না ক্লাস-পরীক্ষার মতো শিক্ষা কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি একেবাবেই অভ্যন্তরীণ ছোট ব্যবস্থাপনা। গবেষণাগার, লাইব্রেরি, ম্যানুস্ক্রিপ্ট, সেমিনারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচ্ছন্নতাকরণ, অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশ, গবেষণা কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা প্রদানসহ কিছু অপরিহার্য কাজ করার জন্য সীমিত পরিসরে, স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
কবে নাগাদ এই সীমিত পরিসরের কার্যক্রম চালু হবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এর জন্য সংশ্লিষ্ট সেকশনগুলোকে বেশ কিছু শর্ত পালন সাপেক্ষে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন কেউ গণপরিবহনে আসবেন না, এসব কাজে যারা অপরিহার্য শুধু তারাই আসবেন। ক্লাস-পরীক্ষা চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেটি করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
