শনিবার, ৩০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট নির্মাণে ‘ইউটার্ন’

৮ হাজার অবকাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বেড়িবাঁধের অপরিকল্পিত স্লুইসগেটের কারণে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি স্থলভাগে পতিত জমি বা বিলে ঢুকতে পারে না। এতে সারা বছর পলি অবক্ষেপিত হয়ে নদী ভরাট হচ্ছে। একই কারণে জোয়ারের সময় বেড়িবাঁধের ওপর পানির চাপ বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, উপকূলীয় অঞ্চলে নদীর নাব্যতা রক্ষা ও স্থলভাগ তুলনামূলক উঁচু করতে ষাটের দশকে নির্মিত স্লুইসগেটে বড় পরিবর্তন আনতে হবে। নদী ও খালের সংযোগস্থলে বহির্মুখী স্লুইসগেটের মাধ্যমে জোয়ারের পানি স্থলভাগে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। খুলনায় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়।  জানা যায়, দেশের উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধে প্রায় ৮ হাজার স্লুইসগেট ও রেগুলেটর আছে। এসব স্লুইসগেট আকারে ছোট হওয়ায় জোয়ারের সময় নদীর পানি স্থলভাগে ঢুকতে পারে না। এতে ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল পর্যন্ত নদীর পানিতে থাকা পলি জমে নদী ভরাট হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-এ্যাওসেড’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফিন বলেন, স্থলভাগের পানি নদীতে বের করে দেওয়ার জন্যই স্লুইসগেটগুলো করা হয়েছে অন্তর্মুখী। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ওই স্লুইসগেট দিয়ে স্থলভাগে জোয়ারের পানি প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বহির্মুখী বড় আকারের স্লুইসগেট দিয়ে জোয়ারের পানি স্থলভাগে ঢুকানো গেলে নদীর পানিতে থাকা পলি জমে স্থলভাগ উঁচু হবে। সেই পানি যখন বিল থেকে নদীতে আসবে তাতে পলি থাকবে না। এতে দ্রুত নদী ভরাট হবে না। এদিকে স্থলভাগে জোয়ার-ভাটা প্রবাহ নিশ্চিত করতে স্লুইসগেট সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি বলেন, এসব স্লুইসগেট নদী ও খালের মুখ আকারে ছোট করে ফেলেছে। এ কারণে ৮ হাজার স্লুইসগেট পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর