শনিবার, ৩০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
সেনা ব্যবস্থাপনার দাবি

গণপরিবহন চালু নৈরাজ্য বাড়াবে

-রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীমিত আকারে গণপরিবহন চালানোর সরকারি সিদ্ধান্ত চাঁদাবাজ চক্রের কারণে এ খাতে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এই অবস্থায় সব ধরনের গণপরিবহন পুরোপুরি চালু করে  সেনাবাহিনীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি সত্ত্বেও সরকার জনজীবন ও অর্থনীতি সচল রাখার প্রয়োজনে অফিস-আদালত চালু এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু গণপরিবহন সীমিত আকারে চালু করার বিষয়টি কীভাবে কার্যকর হবে, তা পরিষ্কার নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা থাকলেও এটা বাস্তবায়ন করা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ দীর্ঘদিন গণপরিবহন লকডাউন থাকার কারণে শ্রমিকরা যেমন চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন, তেমনি অনেক গণপরিবহন মালিক রয়েছেন আর্থিক সংকটে। ফলে বেশিরভাগ মালিক-শ্রমিক একযোগে সীমিত গণপরিবহনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতে চাইবেন। এই সুযোগে চাঁদাবাজ চক্র মালিক-শ্রমিকদের কাছ থেকে ঘুষ ও চাঁদার বিনিময়ে তাদের পরিবহনকে সীমিত গণপরিবহনের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেবেন। এভাবে প্রকারান্তরে প্রায় সব পরিবহনই রাস্তায় চলবে এবং ব্যাপক চাঁদাবাজির ক্ষেত্র তৈরি হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘ ছুটি শেষে বহু মানুষ জীবনের তাগিদে একসঙ্গে রাস্তায় নামবেন। এ অবস্থায় সড়কে গণপরিবহনের স্বল্পতা থাকলে মানুষ হুড়োহুড়ি-গাদাগাদি করে গাড়িতে উঠবেন, ওঠার চেষ্টা করবেন। এতে মানুষের দুর্ভোগ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছবে, স্বাস্থ্যবিধি বলে কিছু থাকবে না। এ ছাড়া পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পযাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি করবেন। কিন্তু বাস্তবে কোনো পরিবহনই স্বল্পযাত্রী বহন করবে না, স্বাস্থ্যবিধিও মানবে না। অথচ অতিরিক্ত ভাড়া ঠিকই আদায় করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর