সোমবার, ১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

প্লাজমার তথ্য নিয়েও মিথ্যাচার!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া রোগীদের নিয়ে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল  মিডিয়াতে বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজে মিথ্য তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে। এর মাধ্যম করোনা রোগ নিয়ে স্পর্শকাতর সময়েও ভোগান্তি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে আক্রান্তের স্বজনদের। তবে এ মিথ্যাচার ঠেকাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়াদের সরকারি উদ্যোগে পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি ও তা সংরক্ষণ করা জরুরি। বর্তমানে আক্রান্তদের যে সব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেখানে একটি ডাটা তৈরি করার সুযোগ রয়েছে। অন্যথায় এটি নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্যও হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংগঠন ওয়াই-স্যাব এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ বলেন, ‘পরিচিত এক রোগীর জন্য প্লাজমা সংগ্রহ করতে গিয়ে বিষ্ময়কর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হলাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া অন্তত ১০টি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ  করি। এর মধ্যে ৮টিই বলল তাদের কারো করোনা পজেটিভ ছিল না। যারা নম্বরটা দিয়েছে তারা নিশ্চয় প্রতারণা করছেন।’ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. তানজিলা চৌধুরী বলেন, ‘সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে প্লাজমার একটি ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। চট্টগ্রামেও এটি করা হবে। তবে এখনো কারা করবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের একটি ডাটা তৈরি করছে।’ রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘রক্তের জলীয় অংশকে প্লাজমা বলা হয়। কোনো ব্যক্তি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তার শরীরে জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হয়। ফলে তার রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এ রক্ত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে নিষ্ক্রিয় করে তোলে এবং এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় এই অ্যান্টিবডি রয়েছে।

, যা সংগ্রহ করে আক্রান্ত রোগীর শরীরে দিলে সাময়িক প্যাসিভ ইমিউনিটি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। ফলে রোগী সুস্থ হতে থাকে।’

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হন ২ হাজার ৮৬৭ জন। গত শনিবার একদিনেই আক্রান্ত হন ২৭৯ জন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১৭ জন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘একদিনে মোট এক হাজার ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭৯ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। তবে বিআইটিআইডির তিন দিনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এক সঙ্গে পাওয়ায় এবার বেশি শনাক্ত হয়।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর