সোমবার, ১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
অসহায় পুলিশও

বাঁশখালীতে চলছে ‘মধ্যযুগীয় বর্বরতা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব ইলশা গ্রামের মো. নাসির, রহমত উল্লাহ, নুরুচ্ছাফা, গফুর আলম। এরা সবাই খেটে খাওয়া দিনমজুর। কিন্তু রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা এসে ভেঙে দিল ঘর, ভাঙচুর করল আসবাবপত্র, বের করে দেওয়া হলো পরিবারের নারী-শিশুসহ সব সদস্যকে। এভাবে কেবল তারা নন, পূর্ব ইলশা গ্রামের চারটি বাড়ির অন্তত দেড়শ ঘর ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কোনোটির ঘরের টিন খুলে নিয়ে যায়, কোনোটির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বাইরে ফেলে দেয়, ভেঙে দেয় বৈদ্যুতিক মিটার, লুট করা হয় স্বর্ণালঙ্কার, টিভিসহ প্রয়োজনীয় আসবাব। এমনকি রক্ষা পায়নি ইউছুফ মাঝি ও মধু চৌধুরী বাড়ির সরকারি ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের দুটি সেমিপাকা ঘরও। এভাবে দিন-রাতে সমানে ভাঙচুর করা হয়েছে ঘর-বাড়ি। চলছে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত ১২ মে বিকালে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ইলশা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইটভাটার মালিকদের মধ্যে গোলাগুলির সময় মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ (২৪) নামের একজন ঘটনাস্থলে ও ইব্রাহিম নামে একজন পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর থেকেই থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ, ভাঙচুর। গত এক সপ্তাহ আগে পূর্ব ইলশা গ্রামের অন্তত ১৫০টি ঘর ভাঙচুর করে শিশু-নারীদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। পুরো গ্রামটি এখন প্রায় মানুষশূন্য। ১৫০টি পরিবারের প্রায় দেড় কোটি টাকার পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ এ নিয়ে নির্বিকার আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি ও পরিবার বাঁশখালী থানায় অভিযোগ করলেও এর কোনো প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ আছে। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘বাহারছড়া এলাকার পূর্ব ইলাশা গ্রামে গত ৫০ বছর ধরে এমনটি ঘটে আসছে।

তাছাড়া এখানে আধিপত্য নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে থাকেন। এসব সমাধানে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা সমাধানে তাদের মধ্যেও কিছুটা পরিবর্তন আসা উচিত।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর