মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

হাসপাতালের সন্ধানে সিলেট

করোনা চিকিৎসায় কাজে আসছে না দুটি সরকারি চিকিৎসালয়

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

হাসপাতালের সন্ধানে সিলেট

সিলেটে দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে সিলেট বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে রবিবার পর্যন্ত শুধু সিলেট জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৫ জনে। আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও। ফলে ১১টি আইসিও বেডের করোনা বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। এই আশঙ্কায় খোঁজা হচ্ছে নতুন হাসপাতাল। ৩০০ শয্যার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চাহিদা জানিয়ে গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা, আইসিইউ ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় করোনা চিকিৎসার জন্য পূর্ব নির্ধারিত সরকারি দুটি হাসপাতাল কোনো কাজেই আসছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  সিলেটে করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই এর চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে শুরুতে মাত্র দুটি আইসিইউ বেড থাকলেও পরবর্তীতে ভেন্টিলেশনসহ আরও ৯টি বেড বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণের শুরুতে আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকায় কারও শরীরে উপসর্গ পেলেই তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হতো। নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও পুরো ১৪ দিন তাকে হাসপাতালে রাখা হতো আইসোলেশনে। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখন সব রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে না হাসপাতালে। কম উপসর্গ থাকা রোগীদের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন রোগীদেরই অগ্রাধিকার দিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। গতকাল বিকাল পর্যন্ত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৩ জন। দুই-তিন দিনের মধ্যে হাসপাতালের শূন্য শয্যাগুলোও পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই করোনা চিকিৎসার জন্য খুঁজতে হচ্ছে নতুন হাসপাতাল। এ ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল ‘নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’কে।  স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, ২০টি আইসিইউসহ ৩০০ শয্যার একটি হাসপাতালের চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট অফিস ও বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি শুরু হবে। এদিকে, করোনা সংক্রমণের শুরুতে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পাশাপাশি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও খাদিমপাড়া সরকারি হাসপাতালকেও করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এ দুটি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান।

তিনি জানান, শুরুতে করোনা চিকিৎসা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় হাসপাতাল দুটি বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু দুটি হাসপাতালের কোনোটিতেই আইসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও পর্যাপ্ত জনবল নেই। এমতাবস্থায় করোনা রোগী হাসপাতাল দুটিতে ভর্তি করা সম্ভব হবে না। বড়জোর কোয়ারেন্টাইনের কাজে হাসপাতাল দুটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর