বুধবার, ৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পুরনো চেহারায় খুলনা বাড়ছে ঝুঁকি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

জীবিকার তাগিদে পুরোদমে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে খুলনাবাসী। ফুটপাথ থেকে অলিগলি- কাঁচাবাজার সর্বত্রই মানুষের ব্যস্ত পদচারণা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এতে ভয়াবহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। আর সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

জানা যায়, খুলনায় ঊর্ধ্বমুখী হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ল্যাবে দুজন কারারক্ষী ও পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন। খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় খুলনায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এর মধ্যে সড়কে, ব্যাংক-অফিসে জনসমাগম বাড়তে থাকায় সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে।

গতকাল সরেজমিন নগরীর ডাকবাংলা, ময়লাপোতা, সাতরাস্তার মোড়, সদর থানার মোড় এলাকায় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষের অবাধ যাতায়াত দেখা যায়। এ ছাড়া কয়েকটি স্থানে পুরনো চেহারার যানজটও দেখা যায়। কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই ব্যবহার করছেন না মাস্ক বা হ্যান্ড গ্লাভস। এমনকি সামান্য কারণেও বাইরে বের হয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ। তারা অনেকেই পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলেও মনে করছেন না। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, সড়কে অধিকাংশ মানুষই মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব মানছে না। তাদের উদাসীনতার কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। তিনি বলেন, জীবিকার তাগিদে কর্মজীবী মানুষকে বাইরে আসতেই হবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের জারিকৃত ১৩ দফা নির্দেশনা না মানায় খুলনায় গণপরিবহন ও সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন। গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া রাখায়ও জরিমানা করা হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, সীমিত পরিসরে অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট চালু হয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা প্রতিরোধে আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর