প্রায় দুই মাস পর ১ জুন থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু হলেও যাত্রী সংকটে পড়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি যাত্রী সংকটে পড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যাত্রী না থাকায় ফ্লাইট শুরুর প্রথম দিনে ৬টি ফ্লাইটের মধ্যে ৪টি বাতিল করতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও ৬টি ফ্লাইটই বাতিল করতে হয়েছে। সংকট না কাটায় গতকাল ও আজকের ফ্লাইটও বাতিল করতে হলো বিমানকে। বিমান সূত্র জানায়, ২২ টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান শুধু প্রথম দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পেরেছে। বাকি ২২টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। তবে বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে বিমানের মতো সংকটে পড়তে হয়নি। এই দুটি এয়ারলাইন্স সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সাধারণ ছুটি শেষে সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে ঢাকা  থেকে দেশের অভ্যন্তরে তিনটি জেলায় বিমান চলাচলের অনুমতি দেয়  বেবিচক।

বেবিচক জানিয়েছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর রুটে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল করতে পারবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই তিনটি রুটে দুটি করে ৬টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।

যাত্রী না পেয়ে মঙ্গলবার কোনো ফ্লাইট চালাতে পারেনি বিমান। যাত্রী সংকট চলমান থাকায় ৩ ও ৪ জুনের সব ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে বিমানকে। এয়ারলাইন্সটির একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।