বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় থমকে গেছে বাজার অভিযান

আক্রান্ত ভোক্তার ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী

আরাফাত মুন্না

গত রমজানের শুরুতে হঠাৎ করেই আদার দাম ৩০০ টাকা ছোঁয়। সাধারণ ছুটির মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করেই দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। সিন্ডিকেটের কারসাজি ঠেকাতে রাজধানীর শ্যামবাজারে পাইকারি মার্কেটসহ খুচরা দোকানগুলোতেও প্রায় প্রতিদিন চলে অভিযান। এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। কিন্তু রমজানের মাঝামাঝি সময়ে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। এরপর একে একে সংস্থাটির মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহাসহ ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হন করোনাভাইরাসে। ফলে থমকে যায় অভিযান।  সংস্থা সূত্র জানিয়েছে, অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ার পরেও ঈদের আগ পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সীমিত পরিসরে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছিল। তবে ঈদের পর ঢাকায় আর কোনো অভিযান হয়নি। শুধু ঝিনাইদহে একটি ও মৌলভীবাজারে একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ঈদের পর থেকে বাজার অভিযান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের করোনা আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা, উপ-পরিচালক আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী, সহকারী পরিচালক তাহমিনা বেগম, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা, সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, নমুনা সংগ্রহকারী আবদুল কুদ্দুছ, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আবদুল ওয়াহেদ, মহাপরিচালকের গাড়িচালক সোহেল আহমেদ, প্রধান কার্যালয়ের গাড়িচালক মিলিয়া খানম, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের গাড়িচালক মো. শরীফ মিয়া।

এদের মধ্যে মহাপরিচালক বাবুল কুমার সাহা, উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা, আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানার সর্বশেষ পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আর আলোচিত উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার তিনবার পজিটিভ আসার পর চতুর্থ পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তিনি এখনো হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল শারীরিক অবস্থা জানতে চাওয়া হলে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চতুর্থবার টেস্টে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আল্লাহর রহমতে এখন আগের চেয়ে ভালো আছি। পিঠে ব্যথা থাকায় এখনো হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান শাহরিয়ার।

গতকাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা আপাতত বাইরে অভিযানে যাচ্ছি না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু অফিসে দাফতরিক কাজগুলো করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর