মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য সরকার অনুমতি দেওয়ার পর রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। এতে গত সোমবার থেকে তিন দিনে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে (আইসোলেশন সেন্টার) ৪৪ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছে। সিআরবিস্থ রেলওয়ের এই হাসপাতালটি ১০০ শয্যার জন্য প্রস্তুত রাখা হলেও এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তেমন কোনো ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী দেয়নি। নামে মাত্র একটি অক্সিজেন, কিছু পিপিই, মাস্ক দিয়েই দায়িত্ব শেষ বলেও অভিযোগ। চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালটি, জেনারেল হাসপাতালের একটি ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে যেসব করোনা রোগী কিছুটা সুস্থ হয়ে ফিরছেন, তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই হাসপাতালটি রাখা হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো ধরনের চিকিৎসা উপকরণ বা চিকিৎসা সামগ্রী না দেওয়ায় নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে রেল অঙ্গনসহ সমগ্র চট্টগ্রামে। এতে আদৌ রোগীরা কতটুকু চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন সেটা নিয়েও ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও) ডা. সামশুল আলম মো. ইমতিয়াজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের সেবায় প্রস্তুত রয়েছে রেলওয়ে হাসপাতাল। এতে রোগীও ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর কোনো ধরনের চিকিৎসা উপকরণ না দিলে কীভাবে রোগীরা সেবা পাবেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রাথমিকভাবে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারের জন্য সিআরবিস্থ রেলওয়ে হাসপাতালটি রয়েছে। ইতোমধ্যে ভর্তিও হয়েছেন করোনা রোগী। এই হাসপাতাল জেনারেল হাসপাতালের একটা ইউনিট হিসেবে ব্যবহার হবে।চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে করোনা রোগীর বিষয়ে দায়িত্বশীল ডা. মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ১০০ শয্যার চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালটির বর্তমানে ৫০ শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে প্রস্তুত করা হচ্ছে।