শনিবার, ৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বরিশালের বাজারে কমেছে ইলিশের সরবরাহ চড়া দাম

নদী-সাগরে নিষেধাজ্ঞা

রাহাত খান, বরিশাল

২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকার নিষিদ্ধ। ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে। এ কারণে বরিশালের বাজারে সরবরাহ কমেছে ইলিশসহ সব মাছের। সরবরাহ কম থাকলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও ইলিশ, চিংড়িসহ দেশীয় সব মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় বেড়েছে ইলিশসহ সব মাছের দাম। ঈদের আগে কেজি সাইজের প্রতিকেজি ইলিশ সাড়ে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন প্রতিকেজি পাইকরি বিক্রি হচ্ছে হাজারের উপরে। ইলিশের দাম চড়া থাকায় এর প্রভাব পড়েছে অন্যান্য মাছেও। সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেশি হলেও আসন্ন জো’তে বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে আশা মৎস্যজীবীদের। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে বলছেন তারা। রমজানেও বরিশালের বাজারে এককেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকার মধ্যে। সাগর এবং নদী থেকে আহরিত বড়-ছোট সাইজের ইলিশের দামও ছিল নাগালে। ২০ মে থেকে সাগরে ৬৫ দিন মাছ শিকার বন্ধ। নদ-নদীতে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা মৎস্য বিভাগের। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে জেলেরা জাল ফেললেও ইলিশ ধরা পড়ছে কম। নদ-নদীসহ খালবিলে স্থানীয় জাতের অন্যান্য মাছও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ভরা মৌসুমে প্রতিদিন হাজার মণেরও বেশি ইলিশ আসে বরিশালের বৃহত্তম পাইকারি মৎস্য আড়ত নগরীর পোর্ট রোডে। সেখানে গতকাল পোর্ট রোড আড়তে ইলিশ এসেছে এক মনেরও কম। সরবরাহ কম, কিন্ত চাহিদা বেশি হওয়ায় গতকাল দেড় কেজি সাইজ ইলিশের প্রতিমণ ৪৮ হাজার টাকা, ১ কেজি ২০০ গ্রাম সাইজ প্রতিমণ ৪৫ হাজার, কেজি সাইজ ৪২ হাজার, রপ্তানিযোগ্য এলসি সাইজ (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) এবং ভেলকা (৪০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) প্রতিমণ ২৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

ইলিশের দাম বেশি থাকায় বেড়েছে দেশীয় মাছের দামও। মাছ বাজারে যাওয়া ক্রেতারা প্রয়োজনের তাগিদে ইলিশসহ দেশি প্রজাতির মাছ কিনছেন। তবে দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের কাছে স্থানীয় নদ-নদীর ইলিশসহ অন্যান্য মাছের চাহিদা বেশি। পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় সব মাছের দাম চড়া। আড়তদাররা বলছেন, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ। জো না থাকায় নদ-নদীতেও তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই ইলিশের দাম বেশি। শুকনো খাল-বিল কেবল বর্ষার পানিতে ভরতে শুরু করেছে, তাই দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের সরবরাহও কম। এ কারণে দেশীয় মাছের দামও চড়া দাবি আড়তদারদের।

বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত কুমার দাস জানান, নদ-নদী খাল-বিলে তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে সব মাছের দাম বেশি। সাগরে ৬৫ দিনের এবং নদীতে জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলেই বাজারে বাড়বে ইলিশসহ মাছের সরবরাহ। তখন মাছের দাম কমবে আশা তাদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর