শনিবার, ৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় করোনার প্রকোপ অনেক বেড়েছে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিংয়ের পরও খুলনায় ভয়াবহ আকারে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। আক্রান্তের দিক থেকে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছে খুলনা জেলা। এখানে মোট আক্রান্ত ১৫৩ জন। গত সাত দিনে এখানে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ জন। এদিকে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় গতকাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একই সঙ্গে মহানগরীর ১০টি স্থানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ওইসব স্থানে প্রবেশ বা বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এখন শুধু বহিরাগত বা তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজনই আক্রান্ত হচ্ছে না। বরং বিচ্ছিন্নভাবে সর্বত্র ছড়িয়েছে এ ভাইরাস। ফলে নির্দিষ্ট এলাকা বা বাড়ি লকডাউন করলেই করোনা সংক্রমণ থেকে আর রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়।

 জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ অবাধে চলাচলের সুযোগ পেয়েছে। ওই সময় মার্কেট খোলা থাকায় সংক্রমণ বেড়েছে গাণিতিক হারে। তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই তথ্য গোপন করায় বা উপসর্গ বিহীন থাকায় নিরব সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। জানা যায়, গতকাল মহানগরীর মুজগুন্নি দিঘির পাড়, সিএন্ডবি কলোনী, ছোট বয়রা করিম নগর, হাজী মহসিন রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, ফরাজিপাড়া, দোলখোলাসহ দশটি স্থানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ওইসব স্থানকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে খুলনার বর্তমান করোনা পরিস্থিতি জানতে বিপুল পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করা দরকার বলে মনে করেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকেন্দার। খুলনা ল্যাবের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়েও তা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে বিকল্প পিসিআর ল্যাব চালু করে অধিক সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা জরুরি। অন্যথায় কেউ করোনা আক্রান্ত হলে অজান্তেই তা অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর