রবিবার, ৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের অর্থোপেডিক বিভাগ লকডাউন

তথ্য গোপন করে করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক-নার্স সহ ১১ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পুরো অর্থোপেডিক বিভাগ লকডাউন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বিভাগের দায়িত্বরত অন্য চিকিৎসক-নার্সদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। করোনা পজিটিভ রোগী তথ্য গোপন করে সেবা নিতে যাওয়ায় ওই বিপর্যয় হয়েছে, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। গতকাল দুপুর একটা থেকে অর্থোপেডিক বিভাগ লকডাউন করে স্বল্প পরিসরে মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে অর্থোপেডিক সেবা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সার্জন ডা. সুদীপ হালদার বলেন, করোনা পজিটিভ দুই রোগী তথ্য গোপন করে অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি হন। তারা কয়েকদিন ওই বিভাগে চিকিৎসা নেন। বিষয়টি জানতে পেরে অর্থোপেডিক বিভাগের সব ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। শনিবার রিপোর্টে ওই বিভাগের ডাক্তার ও নার্সসহ ১১ জনের করোনা পজিটিভ হয়। এ কারণে পুরো অর্থোপেডিক বিভাগ লকডাউন করা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে অর্থোপেডিক বিভাগ চালু রাখতে মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তথ্য গোপন করে ভর্তি হওয়া দুই রোগীকে করোনা ওয়ার্ডে প্রেরণ করার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সিটি করপোরেশন, পুলিশ হাসপাতালসহ সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করার কথা। সিভিল সার্জনসহ অন্যরা দায়িত্ব এড়ানোয় সবাই এখন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করছে।

এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে এই হাসপাতালের সেবাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, করোনা পজিটিভ দুই রোগী ৭ দিন ধরে অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তথ্য গোপন করায় সেখান থেকে একজন চিকিৎসক, ৭ জন নার্স এবং ৩ জন রোগী পজিটিভ হয়েছে। তাই অর্থোপেডিক বিভাগ ৭ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। আর অর্থোপেডিক বিভাগ মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর