হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পল্লীনিবাসে তার ছেলে রাহগীর আল মাহে সাদ এরশাদ এমপি ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীদের জমায়েতের মধ্য দিয়ে গতকাল দুপুরে কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ হয়। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তর সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কাজী মামুনুর রশীদ, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম নুরু প্রমুখ। কাজী মামুন বলেন, ‘এরশাদ পুত্রের ওপর হামলায় নেতা-কর্মীদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা এ ঘটনা বরদাশত করব না।
প্রশাসনের লোকেরা বলছেন আপনাদের চেয়ারম্যান-মহাসচিব?চুপ কেন? তাদের নীরবতায় আমরা লজ্জিত। হামলার উচিত বিচার না হলে সারা দেশে প্রতিবাদ হবে। আমরাই তাদের প্রতিহত করব।’
মেজর (অব.) খালেদ বলেন, ‘এরশাদের পল্লীনিবাসে তার পুত্র ও পুত্রবধূর ওপর হামলার ঘটনা দলের মধ্যে ষড়যন্ত্রের অংশ। এ ঘটনার বিচারে দলের বর্তমান নেতৃত ব্যর্থ হয়েছে। তারা নীরব। এই নেতাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি আর চলবে না। নেতা-কর্মীরা নতুন নেতৃত্ব চায়।’শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘এরশাদের পল্লীনিবাসে তারই পুত্র ও পুত্রবধূর ওপর হামলা প্রকারান্তরে এরশাদ ও জাতীয় পার্টির ওপর হামলা। এ ঘটনাকে আমরা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেব না।’
ইকবাল হোসেন রাজু বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ দুই মাস ধরে তিনি (সাদ এরশাদ) নির্বাচনী এলাকায় পড়ে আছেন। নিজের তহবিল থেকে সাহায্য করে যাচ্ছেন। সামাজিক কর্মকান্ডে তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে দলের নামধারী দুষ্কৃৃতকারীরা সাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আমরা ক্ষমা করব না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক পার্টির সাবেক সভাপতি শাহ আলম তালুকদার, মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি সেলিম আহম্মেদ, সেক্রেটারি আবুল হাশেম, খিলগাঁও থানার সভাপতি মো. কাইয়ুম, তেজগাঁও থানার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, গুলশান থানার সেক্রেটারি আবদুস সাত্তার, মিরপুর থানার সভাপতি হামিদ হাসান, যুব সংহতির নেতা মির্জা ইকবাল, আবদুল কাদের জুয়েল, ঢাবি নেতা নিলয়, জাপা নেতা মাহফুজ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আজমল হোসেন জিতু, আলমগীর পাটোয়ারী প্রমুখ।
