শিরোনাম
সোমবার, ৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
সংস্কার ও পুনঃখননে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ

শ্যামাসুন্দরীর ১৭০ অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ থমকে আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

শ্যামাসুন্দরীর ১৭০ অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ থমকে আছে

করোনার কারণে রংপুর নগরীর প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যামাসুন্দরী খালের ১৭০ অবৈধ দখল উচ্ছেদের কাজ থমকে আছে। চলতি বছরের ৫ মার্চ উচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এছাড়া ঠিকাদার না পাওয়ায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের খাল পুনঃখনন ও সংস্কার কাজও থেমে আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, খালের হাল জরিপে ১৭০ জন অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়। উচ্ছেদ শুরুর আগে তাদেরকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিস দিয়ে অবগত করা হয়।  দখলদারদের অনেকে তাতে কর্ণপাত না করায় ৫ মার্চ উচ্ছেদ শুরু হয়। খালের উৎস মুখ থেকে মাহিগঞ্জ পাটবাড়ি পর্যন্ত খালের দুই পাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ হাতে নেওয়া হয়।  এর জন্য আগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাল জরিপ করা হয়েছে। মৌজাভিত্তিক কেল্লাবন্দ, রাধাবল্লভ, আলমনগর, রঘুনাথগঞ্জ ও ভগি এলাকার ১৭০ জনকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে উচ্ছেদ অভিযান আনুষ্ঠানিকতায় থেমে যায়।  দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার না করায় খালটি নাব্যতা হারিয়ে ফেলে। এর দুধারে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। সরকার এই ঐতিহ্যবাহী খালের সংস্কার ও পুনঃখননের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শ্যামাসুন্দরী খালটি নাব্যতা ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী  মেহেদী হাসান বলেন, করোনার কারণে উচ্ছেদ অভিযান আপাতত বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া খালের সংস্কার কাজে এখন পর্যন্ত ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হলে চলতি বর্ষায় উচ্ছেদ ও সংস্কার কাজ শুরু হবে। চিহ্নিত অবৈধ দখল পুনরুদ্ধারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর