শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
সিলেট

বাড়ছে করোনা হাসপাতাল

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

অবশেষে সিলেটে বাড়ানো হচ্ছে করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পাশাপাশি আরও দুটি হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোও এখন থেকে রোগীদের ফিরিয়ে না দিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।  এত দিন সিলেট বিভাগের মধ্যে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে আসছিল শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা চিকিৎসার জন্য আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত চুক্তি হয়নি। ফলে ১০০ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে বাড়তে থাকে রোগীর চাপ। এতে করোনা ডেডিকেটেড নতুন হাসপাতালের প্রয়োজন দেখা দেয়। এমতাবস্থায় সিলেটের আরও দুটি সরকারি হাসপাতালকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। হাসপাতাল দুটি হচ্ছে ৩০ শয্যার খাদিম সরকারি হাসপাতাল ও ৫০ শয্যার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা হাসপাতাল। এখন থেকে এ দুটি হাসপাতালে করোনা রোগীদের ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান। তিনি জানান, এ দুটি হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় গুরুতর অসুস্থ রোগী ভর্তি করা হবে না। তবে শুধু আইসোলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এদিকে, এখন থেকে সিলেটের ৫০ শয্যার সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে করোনা সন্দেহভাজন কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেয়। সংগঠনের সভাপতি ডা. নাসিম হোসাইন জানান, ইচ্ছে থাকলেও সব হাসপাতালে কভিড-১৯ এর রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর অবকাঠামো এরকম নয়। যখনই কভিড রোগীদের চিকিৎসা শুরু হবে তখন নন কভিডদের চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে চলে যাবে।

তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে কভিড-১৯ আক্রান্তদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর বাইরে ৫০ শয্যার যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে সেগুলোতে রোগী আসলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পছন্দমতো কভিড হাসপাতালে পাঠানো হবে। এতে চিকিৎসা না পাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা আর থাকবে না।

প্রসঙ্গত, দেশের ৫০ শয্যার সব হাসপাতালে নন কভিডের পাশাপাশি কভিডের চিকিৎসা দিতে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সিলেটের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক কভিড বা কভিডের উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া থেকে বিরত থাকে। গত এক সপ্তাহে সিলেটে চিকিৎসা না পেয়ে চারজন রোগী মারা যান। এরপর জনরোষ তৈরি হলে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের এসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলন করে চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সিলেটে ৫০ শয্যার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে ১০টি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর