মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পাউবোর ৩০০ কোটি টাকার নদীশাসন ও বাঁধ নির্মাণের কাজ স্থবির

বর্ষায় রংপুরে মারাত্মক ক্ষতির শঙ্কা

নজরুল মৃধা, রংপুর

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় ৩০০ কোটি টাকার নদীশাসন ও বাঁধ নির্মাণের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারলে আসন্ন বর্ষায় চলমান কাজগুলোর চরম ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে পাউবো বলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে গিয়ে ওইসব প্রকল্পের কাজে কিছুটা ধীরগতিতে হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় নদীখনন, নদীশাসন, বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। এসব কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাঁধ সংশ্লিষ্ট কাজে ১৫০ কোটি টাকা এবং নদী খনন ও নদীশাসন কাজে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আনুমানিক ৫০টি স্থানে এসব কাজ হচ্ছে। এই কাজের কোনোটি দুই বছর আবার কোনোটির তিন বছর মেয়াদে শেষ করার কথা। কাজের কোনো কোনোটি ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। করোনার কারণে বাকি কাজ স্থবির অবস্থায় রয়েছে। কদিন পরেই বর্ষা মৌসুম শুরু হবে। বর্ষায় পানির তোড়ে অসমাপ্ত এসব কাজের চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বর্ষায় ওইসব কাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেই দিক লক্ষ্য রেখেই কাজ করা হচ্ছে। সূত্রমতে রংপুরে ৫৬০০ মিটার নদীশাসন এবং বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও পীরগাছায় নদী খননের কাজ চলছে। দিনাজপুরের গৌরিপুরে নদীর তীরে স্টাকচার নির্মাণের কাজ চলছে। কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে রৌমারী-রাজিবপুরকে রক্ষা প্রকল্পসহ প্রায় অর্ধশত কাজ চলমান রয়েছে। করোনার কারণে কোনো কোনো কাজ বন্ধ রয়েছে। আবার দু’একটি চালু থাকলেও সেসব চলছে শম্ভুক গতিতে। সময়মতো এসব কাজ শেষ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চলমান এসব কাজের কিছু কিছু বিল ঠিকাদারদের দেওয়া হলেও অর্থের সিংহ ভাগ বরাদ্দ চলতি জুন মাসে পাওয়ার কথা। কিন্তু জুন মাসে বরাদ্দ আসবে কিনা এনিয়ে পাউবো ও ঠিকাদারদের মাঝে সংশয় রয়েছে। জনৈক ঠিকাদার বলেন, করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করায় কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। আবার করোনার ভয়ে অনেক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট অনেকে কাজ করতে আসছে না। ফলে কাজের নিয়মিত গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।  তিনি জানান, এ পরিস্থিতিতে কোনো কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, করোনার কারণে কাজের গতি কিছুটা কমলেও কাজ চলমান রয়েছে।

চলমান কাজে আসন্ন বর্ষায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্ষায় বাঁধ কিংবা নদীর তীর ভেঙে যাতে চলমান কাজে পানি না ঢুকে ওই ভাবেই কাজ করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর