বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৬৭ বছর করার প্রস্তাব-সংক্রান্ত ‘দ্য বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অ্যাক্টটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর মো. ফজলে কবীর আরও দুই বছর এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে গভর্নরের মেয়াদ পাঁচ বছর এবং তাকে পুনর্নিয়োগও দেওয়া যায়। তবে ৬৫ বছর বয়সের কেউ গভর্নর হতে বা থাকতে পারেন না। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মহামারীর কারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওই ব্রিফিংয়ের অডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের সরবরাহ করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে ৬৫ বছরের পর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে দায়িত্বপালনকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেও ৬৫ বছর পর পুনর্নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে বাস্তব আলোচনার পর মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নেয় এটিকে বৃদ্ধি করে ৬৭ করে দেওয়ার। গতকালের বৈঠকে এরই নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।