করোনার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে চট্টগ্রামের মানুষ। চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকটি থানা এলাকায় বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য মিলেছে। এসব এলাকাকে রেড জোনের তালিকায়ও এনেছে সরকার। গত দুই মাসে চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও জেলার উপজেলাগুলোতে শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৮ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট ৪ হাজার ১৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে নগরীতে ২ হাজার ৯৯৯ জন এবং উপজেলায় ১ হাজার ১৬৯ জন রয়েছে। সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১০১ জন। এর মধ্যে নগরীতে ৮১ জন এবং উপজেলার ২০ জন বলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছে দামপাড়া এলাকায় এবং প্রথম করোনায় মারা গেছে সাতকানিয়া উপজেলা এলাকায়। এর পর থেকে আক্রান্ত বাড়ছেই। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ থানার মধ্যে ১২ থানাই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত কোতোয়ালি থানা এলাকায়। সর্বোচ্চ মৃত্যু পাহাড়তলী এলাকায়। হালিশহর এলাকা রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর কোতোয়ালি এলাকা। রেড জোনের তালিকায় থাকা খুলশী, আকবরশাহ এলাকায়ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। অন্যদিকে এ পর্যন্ত (৯ জুন) করোনায় মারা গেছেন ১০১ জন। এর মধ্যে নগরীতে ৭৮ জন এবং উপজেলার ১৯ জন। গত ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী মারা যান। বর্তমানে ৮ জুন পর্যন্ত ১০১ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মারা গেছেন নগরীর পাহাড়তলীতে। সেখানে ১০ জন মারা গেছেন। এরপর হালিশহরে ৮ জন, খুলশী ও আকবরশাহ এলাকায় ৫ জন করে ১০ জন, এর বাইরে চকবাজারে ২ জন, বন্দরে ১ জন, ডবলমুরিং এ ৩ জন, বাকলিয়ায় ২ জন, বায়েজিদে ১ জন, পতেঙ্গায় ১ জন, সুগন্ধা-মোহরা এলাকায় ২ জন, লালখানবাজারে ১ জন, মাদারবাড়িতে ২ জন, কদমতলীতে ১ জন, আগ্রাবাদে ২ জন, চান্দগাঁও এলাকায় ১ জন, বহদ্দারহাট এলাকায় ১ জন, পাঁচলাইশ এলাকায় ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল এবং নগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় করোনায় মোট মারা গেছেন ১০১ জন। করোনায় সর্বশেষ খবর চট্টগ্রাম : নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৯৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নগরের তিন ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে মোট ৫৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ১৯৬টি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ২৩২টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১২৫টি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চট্টগ্রামের ২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে বিআইটিআইডিতে ৩৬ জন, সিভাসুতে ৩৩ জন, চমেকে ১৭ জনের করোনা পজেটিভ হয়। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গতকাল বলেন, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরে ৬৫ জন এবং বিভিন্ন উপজেলায় ৩৪ জন। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ১৬৮ জন। মারা গেছেন গতকাল পর্যন্ত ১০১ জন।