বুধবার, ১০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

আরএমপির ৩ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার চাতুরী!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) প্রায় তিন কোটি টাকার একটি কাজের দরপত্র অফিস সহকারীর কব্জায় আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দরপত্রটির শিডিউলও দেওয়া হয়নি কয়েকজন ঠিকাদারকে। শুধু অফিস সহকারী আবদুল লতিফের পছন্দের ঠিকাদারকেই দেওয়া হচ্ছে এ কাজটি। গতকাল সোমবার এই দরপত্রটির দরপত্র জমা দেওয়া শেষে খোলা হয়। এ নিয়ে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি একটি লিখিত অভিযোগ গণমাধ্যমের কাছে পাঠিয়েছে। সূত্র মতে, রাজশাহী মহানগর পুলিশের জন্য গাড়ির যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য দরপত্র গত ১৩ মে আহ্বান করা হয়। এরপর গত ৭ জুন পর্যন্ত দরপত্রটির শিডিউল বিক্রি করা হয়। গতকাল সোমবার দরপত্রটি খোলা হলে দেখা যায়, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য দরপত্র জমা পড়ে মাত্র ছয়টি, আসবাবপত্র কেনার জন্য দরপত্র জমা পড়ে মাত্র তিনটি এবং গাড়ির যন্ত্রপাতি কেনার জন্য দরপত্র জমা পড়ে মাত্র তিনটি। ঠিকাদারদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মালামাল সরবরাহের এই দরপত্রে অংশ নিতে আরও একাধিক ঠিকাদার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মহানগর পুলিশের অফিস সহকারী আগে থেকেই তার পছন্দের ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্য ঠিকাদারদের কাছে শিডিউল বিক্রি করেননি। ফলে অন্য ঠিকাদাররা চাইলেও শিডিউল পাননি। দরপত্র খোলা হলে পরে দেখা যায় তিনটি কাজের বিপরীতে মাত্র ১২টি শিডিউল জমা পড়ে।

তবে অন্য ঠিকাদাররা এই কাজে অংশ নিতে পারলে আরও অন্তত ২০-৩০টি শিডিউল জমা পড়ত। বেশি ঠিকাদার অংশ নিতে পারলে মালামাল সরবরাহ কাজের ব্যয়ও যেমন কমে আসবে, তেমনি শিডিউল বিক্রি করেও সরকারের রাজস্ব আয় হতো।  এক ঠিকাদার বলেন, ‘আরএমপির অফিস সহকারী আবদুল লতিফ তার পছন্দের ঠিকাদারকে উচ্চদরে কাজ দেন। কয়েক বছর ধরে দরপত্র কব্জা করে রেখেছেন আবদুল লতিফ। আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চোখকে ফাঁকি দিয়েই পছন্দের ঠিকাদারের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছেন। এর মাধ্যমে মোটা অঙ্কের কমিশনও পাচ্ছেন তিনি।’  

আবদুল লতিফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘দরপত্র কম পড়লে কিছু করার নেই। বেশি ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ নিতে চায়নি, তাই দরপত্র কম জমা পড়েছে হয়তো।

আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর