করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী নারীরা আর্থিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যগতভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। নারীরা চাকরি হারাচ্ছে ও উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান নেমে গেছে, তারা সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এ সংকটকালে জাতিসংঘের এজেন্সিসমূহ, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারদের করোনাভাইরাস সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, কভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী যে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে যে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছে তার ৭০ ভাগ নারী।

বিশ্ব যখন মহাসংকটে তখন নারীরা ঘরে বসে নেই। বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পেশায় উচ্চপদে নারীর দক্ষতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তার বক্তব্যে করোনা সংকটে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আর্থিক সহায়তা, ঘরে বসে কাজ করা ও সরকারি-বেসরকারি সব নাগরিক সুবিধা পাওয়ার বিষয় সুপারিশ হিসেবে তুলে ধরেন। সুপারিশে তিনি আরও উল্লেখ করেন, গবেষণা ও উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে একসঙ্গে কাজ করে কভিড-১৯ সংক্রামক ব্যাধিকে চিরতরে পৃথিবী থেকে দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, ৮ মার্চ ২০২০ তারিখে বাংলাদেশে প্রথম করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সম্প্রতি দশ হাজার ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

ইন্দিরা বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়েছে। স্থবির হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিকে গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক লাখ কোটি টাকার বেশি ১৯টি প্যাকেজ  ঘোষণা করেছেন।