রাজশাহীতে করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে শহরেই। বিভাগীয় শহরটিতে এ পর্যন্ত ২৮ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। এখন জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন তানোর উপজেলায়। অথচ কিছুদিন আগেও সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল তানোরে। বুধবার সকালে এক প্রতিবেদনে জেলার সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজশাহী মহানগরীতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন পাঁচজন। আর মারা গেছেন একজন। তবে রাজশাহী মহানগরীতে ভাড়া বাসায় বসবাসকারী দুজন মারা গেছেন। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নওগাঁর এক ব্যক্তি মারা গেছেন। রাজশাহী মহানগরীতে গত ১৫ মে এক নারীর প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে তার স্বামী এবং মেয়েও আক্রান্ত হন করোনায়। তারা এখন সুস্থ। নগরীতে এখনো আইসোলেশনে আছেন ২২ জন। করোনার সংক্রমণ রোধে শহরে এখনো হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩২ জন। এদের মধ্যে ঢাকা থেকে আসা দুজনকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। ১৪ দিন তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। রাজশাহীর তানোর উপজেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া বাঘা উপজেলায় ৭ জন, চারঘাটে ১০, পুঠিয়ায় ১১, দুর্গাপুরে ৩, বাগমারায় ৬, মোহনপুরে ৯, পবায় ৭ এবং গোদাগাড়ীতে ১ জন সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন।
দুর্গাপুর উপজেলার সবাই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। এ ছাড়া তানোরে ১ জন, বাঘায় ৩ জন, পুঠিয়ায় ৬, বাগমারায় ১, মোহনপুরে ৪ এবং পবায় ২ জন সুস্থ হয়েছেন। বাঘা ও মোহনপুর উপজেলায় মারা গেছেন ৩ ব্যক্তি।
সিভিল সার্জন জানান, গত ১২ এপ্রিল পুঠিয়ায় প্রথম করোনা রোগী পাওয়া যায়। এরপর রাজশাহী জেলা ও মহানগরে এ পর্যন্ত মোট ৯৬ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৪ জন সুস্থ হয়েছেন। আর চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭১ জন। করোনার সংক্রমণ রোধে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১ হাজার ৯১৯ জন কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন।