বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ধান-চাল ক্রয়ে গতি বাড়ানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ধান-চাল ক্রয়ে আরও গতি বাড়াতে হবে।’ এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে তিনি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অবৈধ কার্ড বাতিলে শক্ত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। প্রয়োজনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী গতকাল তার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব নির্দেশনা দেন। সভাটি সমন্বয় করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে, কৃষকও ন্যায্য দাম পাচ্ছে। ধান-চাল ক্রয়ে সরকারি সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে। ধান-চাল কেনায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এবারের প্রকিউরমেন্ট যেন কৃষক বান্ধব প্রকিউরমেন্ট হয়। লটারি করার পর নির্বাচিত কৃষকের তালিকা যেন ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের তথ্যকেন্দ্রে এবং উপজেলা খাদ্য অফিসে দৃশ্যমানভাবে টানানো হয়। নির্বাচিত কৃষক ধান দিতে না পারলে সঙ্গে সঙ্গে তালিকায় অপেক্ষমাণ কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। পাশাপাশি কোনো কৃষক যেন তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি না করেন সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে চালের মান নিয়ে কোনো আপস করা যাবে না।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রদান করা হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মে মাসেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল দেওয়া হয়েছে।

সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টার্গেটকৃত ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক সংগ্রহ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর