করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ৬৬ দিনের লকডাউন শেষে বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে আরও ১২ দিন বন্ধ রাখার পর আজ শুক্রবার ৭৮ দিন পর খুলছে দেশের বৃহত্তম ও সর্বাধুনিক শপিংমল বসুন্ধরা সিটি। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি অর্জন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও উন্নতি কামনায় শপিংমল চালুর আগের দিন গতকাল খতমে কোরআন, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করে বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। বাদ-আসর বসুন্ধরা সিটির লেভেল-২ এর মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মোনাজাতের আগে স্বাস্থ্যবিধি
অনুসরণ করে বসুন্ধরা সিটির কার্যক্রম পুনরায় চালুকরণে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে শপিংমলের ইনচার্জ ও ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক (হিসাব ও অর্থ) শেখ আবদুল আলীম বক্তৃতা করেন।
তিনি জানান, আগত ক্রেতা সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বসুন্ধরা সিটির সব প্রবেশপথে ডিজইনফেকশন টানেল, হাত ধোয়ার বেসিন ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও নানা উপায়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যবস্থাও ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে শপিংমলে প্রবেশের জন্য ক্রেতা সাধারণ ও দর্শনার্থীদের উদ্দেশে এ সময় তিনি বিশেষ অনুরোধ করেন। দোয়া ও মোনাজাতে আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মেকানিক্যাল বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুব মোর্শেদ খান, মানবসম্পদ প্রশাসন নিরাপত্তা বিভাগের ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) মোল্লা মুশতাক রেজা, ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী এইচ এ এম আশেক এলাহী, সিভিল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুব হকসহ বসুন্ধরা সিটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাধারণ মুসল্লিরা। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বসুন্ধরা সিটি মসজিদের ইমাম হাফেজ দেলোয়ার হোসেন।