শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় মোট আক্রান্তের অর্ধেকই ৭ দিনে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় হঠাৎ করেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। গত তিন মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ২৪৮ জন। এর মধ্যে গত সাত দিনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মাত্র ১৫ জন। জানা যায়, করোনা প্রতিরোধে ঈদের আগে গত ১৫ মে থেকে খুলনার সব মার্কেট দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু নানা পর্যায়ের চাপের কারণে পাঁচ দিন পর ২০ মে থেকে মার্কেট দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়। তবে মার্কেটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে। এদিকে এরই মধ্যে রোগী বাড়তে থাকায় তাদের চিকিৎসায় খুলনা সদর হাপাতালের চতুর্থ তলায় ৪২টি বেড প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা রোগীদের কিডনি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন পড়লে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পাঁচটি ডায়ালাইসিস বেড ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খুলনার সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করে খুলনা কভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হবে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, নিজেদের অসচেতনতার কারণে খুলনা বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছেছে। বিশেষ করে মহানগরী এলাকায় করোনা উদ্বেগজনকভাবে ছড়িয়েছে। আক্রান্তের থেকে সুস্থ হওয়ার হার অনেক কম। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। চিকিৎসাধীন রোগী সুস্থ হয়েছেন মাত্র ২ জন। খুলনা পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা সীমিত হওয়ার কারণে খুলনার চিত্র পুরোপুরি নির্ধারণ করা যায়নি। এতে শনাক্তের বাইরেও অনেক রোগী ঝুঁকি তৈরি করছে। এদিকে অধিক সংখ্যক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের লক্ষ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজে আরও একটি পিসিআর মেশিন স্থাপনের দাবি উঠেছে। বর্তমানে ওই ল্যাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়, যা যথেষ্ট নয়। এ ছাড়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজেও করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, এরই মধ্যে খুলনায় করোনা প্রতিরোধে সব মার্কেট দোকানপাট বন্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছোট গণপরিবহন মাহেন্দ্র ইজিবাইকে দুই জনের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। নির্দেশনা না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর