শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়েই আলোর পথে যাত্রা : নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মুক্তি পেয়েছিলেন বলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। আর সেদিনই শুরু হয়েছিল অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা। সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের চাপে তৎকালীন এক-এগারো সরকার আজকের (১১ জুন) এই দিনে আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আর নেত্রীর মুক্তি হয়েছিল বলেই ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ আজকে মধ্যম আয়ের দেশ। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দূর হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হচ্ছে।’ গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে দোয়া ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 দোয়া ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা এবং দেশ ও বিশ্ব করোনা থেকে মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, এক-এগারো সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কারাবন্দীর মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করেছিল। কিন্তু দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তা মেনে নেয়নি। তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। সে কারণে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন সরকার।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১১ জুন শুধু শেখ হাসিনার কারামুক্তি নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস। কারণ তিনি সারা জীবন ধরে গণতন্ত্রের জন্য ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা বিশ্বের সামনে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার মুক্তি না হলে গণতন্ত্র ফিরত না।

সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গণতন্ত্রপ্রত্যাশী জনগণের আন্দোলনের মুখেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আমরা অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করি।’

আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের গহ্বরে জন্ম নেওয়া এক-এগারো সরকার গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরতেই আমাদের প্রিয় নেত্রীকে কারাবন্দী করেছিল। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পুলিশি নির্যাতন সহ্য করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে নেত্রীকে মুক্তি করে আনেন। আজ নেত্রী ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হচ্ছে।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, এক-এগারো সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয় মূলত ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার কৌশলের অংশ হিসেবে। কিন্তু তারা তা পারেনি। গণতন্ত্রকামী দেশের মানুষের তীব্র আন্দোলন ও ভালোবাসায় তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেই সরকার।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর