শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনী যে কোনো কাজ করবে : সেনাপ্রধান

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনী বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ যে কোনো কাজ করবে। জাতীয় যে কোনো কাজে আমরা না বলি না। সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের ও সরকারের আস্থা রয়েছে, তাই আমরা গর্বের সঙ্গে সরকারের দেওয়া নির্দেশনামতো বিশেষ পরিস্থিতিতে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে আমরা এসেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে আসিনি। এখানে কারও ওপর চড়-থাপ্পড় দেওয়া যাবে না। সবার সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। গতকাল সকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এবং একই স্থানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, দুর্যোগের সময় সেনাবাহিনী উপদ্রুত এলাকায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে।

বড় বড় ড্রেজিংয়ের কাজ, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার মেগা প্রজেক্ট সেনাবাহিনী করছে। সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরে বাঁধ রক্ষার কাজ সেনাবাহিনী সফলভাবে করছে। উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর দায়িত্বে দিলে সাগ্রহসহকারে সেনাবাহিনী তা করবে।

জেনারেল আজিজ আহমেদ আরও বলেন, সুপেয় পানি সংকটেও সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী। সংশ্লিষ্টরা চাইলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া ঘর নির্মাণসহ খাদ্য সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে সেনাসদস্যরা। এ ছাড়া মাসব্যাপী গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসাসেবা দেবে সেনাবাহিনীর  মেডিকেল কোরের সদস্যরা।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আগে নিজেকে সুস্থ থাকতে হবে। একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে আমরা কাজ করছি। করোনার কারণে প্রটেকশন নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যদি করোনা না থাকত তাহলে সেনা সদস্যরা লুঙ্গি গামছা পরে কাজে নেমে পড়তেন। তবে করোনার কারণে  সেটি হচ্ছে না। দুর্যোগে কীভাবে কাজ করতে হয় সেনা সদস্যরা সেটি জানেন।

জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৬০টি ঘর আমরা সংস্কার করে দিয়েছি। ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা দিয়েছি। খাবারের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকেও অনেককিছু করা হচ্ছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারপরও  সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমাদের ১৬টি পানি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে। এর মধ্যে উপকূলে পানি সংকট নিরসনের জন্য তিনটি ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার  জেনারেল (কিউএমজি) লে. জেনারেল মো. সামছুল হক, ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, সেনাসদর অপারেশন্স পরিদফতরের পরিচালক,  সেনাসদর গোয়েন্দা পরিদফতরের পরিচালক, সেনাপ্রধানের এমএ এবং আইএসপিআরের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর