শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

আওতায় আসছে আরও ১১ লাখ মানুষ

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আরও ১১ লাখ পাঁচ হাজার মানুষকে আনা হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে পাঁচ লাখ বয়স্ক ভাতা, সাড়ে তিন লাখ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা ও দুই লাখ ৫৫ হাজার প্রতিবন্ধী ভাতা পাবেন। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।  অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা, লকডাউন, শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের আয় কমে যাওয়ায় আমাদের অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার চলতি অর্থবছরে দরিদ্র কর্মজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবে ৫০ লাখ মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। মুস্তফা কামাল বলেন, করোনা মহামারীর কারণে সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০ উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সব দরিদ্র, প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।

এতে করে পাঁচ লাখ মানুষ নতুন উপকারভোগীতে যোগ হবে এবং এ খাতে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া করোনা মহামারীর কারণে সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০ উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সব বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে সাড়ে তিন লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবে এবং এ খাতে ২১০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বশেষ প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ অনুযায়ী দুই লাখ ৫৫ হাজার নতুন ভাতাভোগী যুক্ত করে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৮ লাখে বৃদ্ধি করা হবে। এ বাবদ ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে।

এ ছাড়াও এবার বাজেটে দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, ভিজিডি কার্যক্রম, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ, ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার সিরোসিস রোগীদের সহায়তা, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি ইত্যাদি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর