শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের ঘটনায় ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক। ১১ জুন এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রবাসের অভিজ্ঞতায় মাতৃভূমির কল্যাণে বাকিটা জীবন অতিবাহিত করতে আগ্রহীরা যাতে বঞ্চিত না হন, সে কারণেই ড. মোমেনের মতো নিবেদিতপ্রাণ ‘প্রবাস-বন্ধু’ সম্পর্কে অযথা মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকা উচিত। ড. মোমেন আজকের পর্যায়ে উপনীত হওয়ার নেপথ্যে এই প্রবাসের বিভিন্ন কর্মকা-ের অভিজ্ঞতার সুফল বলেই বিবৃতিদাতারা মনে করেন।  বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও উন্নয়ন বিরোধী একটি বিশেষ চক্রের হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

 বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বস্তরের প্রবাসীর সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখে বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। যে কোনো প্রবাসীর টেলিফোন তিনি রিসিভ করেছেন। প্রবাসীদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এভাবেই প্রবাসীদের প্রতি তার এক গভীর মমত্ববোধ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। সেই ধারায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও নিজেকে সোচ্চার রেখেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তে লিপ্ত, মূলত তারাই প্রবাসে বাঙালিদের মধ্যে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এহেন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ড. এ কে মোমেন প্রবাসী-বান্ধব সরকারের একজন প্রবাসী-বান্ধব পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত দেড় বছরে একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার অবদান অবশ্যই প্রশংসনীয়। তারা বলেন, আমরা আশা করি, প্রবাস-বান্ধব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন সব অসত্য অপপ্রচার পেছনে ফেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আধুনিক সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাবেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ (ফিলাডেলফিয়া), মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রেসিডেন্ট ড. খন্দকার মনসুর (ওয়াশিংটন ডিসি) এবং সেক্রেটারি-সমাজকর্মী হাজী আবদুল কাদের মিয়া (নিউইয়র্ক), যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ সম্মেলনের সদস্য সচিব জাকারিয়া চৌধুরী (নিউইয়র্ক), কমিউনিটি লিডার ডা. ইবরুল হাসান চৌধুরী (পেনসিলভেনিয়া), পিপল এনটেকের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ এবং প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ, যুক্তরাষ্ট্রস্থ ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্স’র প্রেসিডেন্ট এম এ সালাম (নিউজার্সি), জর্জিয়া স্টেট সিনেটর শেখ রহমান, নিউ হ্যামশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান, হাডসন সিটির কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, আপার ডারবি সিটির কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক, মিলবোর্ন বরোর ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল হাসান, কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারী, কোষাধ্যক্ষ এবং বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর টিভির সিইও আলিম খান, সাংস্কৃতিক সংগঠক সবিতা দাস, উইলি নন্দী, পেনসিলভেনিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, নিউইয়র্কের কমিউনিটি লিডার আবু নাসের, নজরুল ইসলাম বাবুল, নিউজার্সির ডেমোক্রেট দেওয়ান বজলু, বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমোক্রেটিক লীগের প্রেসিডেন্ট খোরশেদ খন্দকার, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম, উত্তর আমেরিকায় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মঈনুল হক চৌধুরী হেলাল এবং সাবেক সেক্রেটারি জেড চৌধুরী জুয়েল, চট্টগ্রাম সমিতির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আশরাব আলী খান, সন্দ্বীপ পৌরসভা কল্যাণ সমিতির (নিউইয়র্ক) প্রেসিডেন্ট হাজী জাফরউল্লাহ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শুভ রায়, কুইন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির তৃণমূলের সংগঠক ফাহাদ সোলায়মান, রাজনীতিক মিসবাহ আহমেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর