শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় দোকানপাট বন্ধের বিধিনিষেধ মানতে ঢিলেমি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনায় দুই সপ্তাহ দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানছে না অনেকেই। বিশেষ করে কয়েকটি অভিজাত মার্কেট ও পাড়া-মহল্লায় মুদি দোকান, চায়ের দোকান খোলা থাকছে স্বাভাবিক সময়ের মতোই। এ ছাড়া ছোট গণপরিবহন মাহেন্দ্র ও ইজিবাইকে দুজনের বেশি যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না চালকরা। ফলে উদাসীনতার কারণে নতুন করে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ জন। এ নিয়ে খুলনায় মোট করোনা আক্রান্ত ২৮৩ জন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, ঈদের পর খুলনায় করোনা শনাক্তের হার বহুগুণ বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ জুন থেকে দুই সপ্তাহের জন্য দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।  

 

এদিকে সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচাবাজার, মৌসুমি ফলের দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অনেক স্থানে তা খোলা রয়েছে। দোকানপাটের শার্টার অর্ধেক খুলে ভিতরে পুরোদমে চলেছে বিকিকিনি। ফুটপাথেও দোকান সাজিয়ে বসেছে হকাররা। পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানে চলছে জমজমাট আড্ডা। নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো, শান্তিধাম মোড়ে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকস্থানে পুলিশ থাকলেও কোনো কঠোরতা নেই। নির্দেশনা অমান্য করেই মাহেন্দ্র্য, ইজিবাইকে পাঁচ-ছয় জন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন না অনেকেই।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীন হলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। জানা যায়, গতকাল নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২২টি মামলায় ২২ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর