রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় উল্টো পথে খুলনা

উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বেশি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় করোনা শনাক্ত হলেও জ্বর-সর্দি, গলা ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নেই অসংখ্য রোগীর। এ ধরনের রোগীর বাড়িতে বসে চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও অনুরোধ বা চাপের কারণে তাদের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। এতে উপসর্গ থাকা জরুরি রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের। জানা যায়, খুলনায় একশ শয্যার করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ৫৯ জন। এদের মধ্যে মাত্র ছয়জনকে আইসিইউওতে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। বাকি রোগীর ৫০ জনের শরীরেই কোনো ধরনের উপসর্গ নেই। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, যাদের শরীরে কোনো উপসর্গ নেই তাদের শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিয়ে রাখা হয়েছে। এদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া যেত। মূলত করোনা আক্রান্ত যাদের গলা ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট আছে, তাদেরই হাসপাতালে ভর্তি করার কথা। কিন্তু আমরা হাঁটছি উল্টো পথে। তবে করোনা শনাক্তের পর অনেককেই পাড়া-মহল্লায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। জোর করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার অনুরোধেও উপসর্গহীন রোগী ভর্তি করতে হচ্ছে। এতে হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা কমে আসছে। খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. ফরিদ আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি হলে তাদের জন্য বাড়তি জনবলের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসক-নার্সদের বাড়তি শ্রম দিতে হয়।

কিন্তু ডেডিকেটেড হাসপাতালে এখন যারা ভর্তি আছেন, তাদের অনেকেরই কোনো চিকিৎসা লাগছে না। হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর থেকে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাই বেশি।

জানা যায়, খুলনায় গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪২ জন। তবে করোনা রোগী বাড়তে থাকায় তাদের চিকিৎসায় খুলনা সদর হাপাতালের চতুর্থ তলায় ৪২টি শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। রোগীদের কিডনি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হলে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পাঁচটি ডায়ালাইসিস শয্যা ব্যবহার করা হবে। খুলনা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর