সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায়

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা রোগীর জন্য বাইরে থেকে অক্সিজেন নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা -দিদারুল আলম

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত শনিবার ভর্তি করা হয় সীতাকু- পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহ আলমকে (৪৮)। পরে তার অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার হলেও তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকটা অক্সিজেনের অভাবে রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেনের বোতল সংকট চলছেই। একটি নিয়ে ভাগাভাগি-টানাটানি করছেন অন্তত ৭-৮ জন রোগী। ফলে অনেকেই অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে। তবে এবার এ সংকট কাটবে। জেনারেল হাসপাতালের ২৫০ শয্যার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন লাইন স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুুরে এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন লাইন স্থাপনে ৮৫ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। বসানো হবে ২৫০ অক্সিজেন পোর্টাল। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব কাজ শেষ করার কথা। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শফিকুল আলম বলেন, ‘হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের কাজ করে দিচ্ছে এস আলম গ্রুপ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে দেওয়ার কথা। এগুলো বসানো হলে অক্সিজেন সংকট কমবে।’ জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগীদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরই শ্বাস কষ্ট। এর মধ্যে অধিকাংশ রোগীর সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউ অথবা অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার হয়। কিন্তু জেনারেল হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিইউ এবং অক্সিজেন সাপোর্ট না থাকায় অনেকটা বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছেন।

একটি অক্সিজেনের বোতল দেখলেই কিছু সময়ের জন্য হলেও প্রাণ সঞ্চার হচ্ছে রোগী ও স্বজনের মনে। ওই মুহূর্তে অক্সিজেনের বোতলই যেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জিনিস। কে আগে টেনে নিয়ে যাবে, তার চেষ্টা চলে। সর্বশেষ গতকালও সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে একাধিক রোগী মারা যান।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত মোট রোগী ৫ হাজার ৮৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১৭ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৭১ জন। গত শনিবার একদিনে চট্টগ্রামের তিনটি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে মোট ৮৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হন ২৬৯ জন।  বর্তমানে চট্টগ্রামের তিনটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর