মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে রেড জোন ১৯ এলাকা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে রেড জোন ১৯ এলাকা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ১০টি ওয়ার্ড এবং ৯টি উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলাকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হয়। তবে নগরে ১০ নং উত্তর কাট্টলী দিয়ে রেড কার্যকর শুরু হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে লকডাউন করা হবে। গত রবিবার রাতে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় তিনটি জোন হিসেবে ভাগ করে। করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের এলাকাভিত্তিক  জোন চিহ্নিত করা হয়। প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে গত ১৪ দিনে ১০ জন বা তার বেশি আক্রান্ত হলে সে এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। লাল ও হলুদ জোনে সাধারণ ছুটি চলবে। আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার মধ্যে লাল  জোনে ৯টি, হলুদ জোনে ৩টি এবং সবুজ জোনে ২টি উপজেলা আছে। লাল জোনের মধ্যে আছে হাটহাজারী- আক্রান্ত ১৭৬ জন, পটিয়া- আক্রান্ত ১৩১ জন, বোয়ালখালী- আক্রান্ত ১২৮, চন্দনাইশ- আক্রান্ত ৮১, সীতাকুন্ড- আক্রান্ত ৯৭, আনোয়ারা- আক্রান্ত ৩৭, বাঁশখালী- আক্রান্ত ৫১, রাঙ্গুনিয়া- আক্রান্ত ৩৯, রাউজান- আক্রান্ত ৫৫ জন। হলুদ জোনের মধ্যে আছে সাতকানিয়া- আক্রান্ত ৩৫ জন, লোহাগাড়া- আক্রান্ত ২৩ জন ও ফটিকছড়ি- আক্রান্ত ৩৭ জন। সবুজ জোনে আছে মীরসরাই- আক্রান্ত ১১ জন ও সন্দ্বীপ- আক্রান্ত ৮ জন। অন্যদিকে নগরের ১০টি রেড জোনের মধ্যে আছে, ১০ নং উত্তর কাট্টলী, বন্দর এলাকার ৩৭ ও ৩৮ নং ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নং, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নং, খুলশীর ১৪ নং ও হালিশহর এলাকার ২৬ নং ওয়ার্ড। তবে নগরে ১০ নং উত্তর কাট্টলী দিয়ে রেড কার্যকর শুরু হবে। ওয়ার্ডে লকডাউন চলাকালে চসিকের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে খাবার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে দেওয়া হবে।  সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আক্রান্ত সংখ্যা বিবেচনায় স্বাস্থ্য অধিদফতর ও চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ ৯টি উপজেলা ও নগরের ১০টি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়। রেড জোন ঘোষিত উপজেলাগুলোর প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে চিহ্নিত ওয়ার্ডে যানবাহন ও মানুষ চলাচল, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময় প্রত্যেককে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘লকডাউন চলাকালে এলাকার অধিবাসীরা নিজের এলাকায় থাকবেন এবং বাইরের কেউ নিজেদের এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যারা ঘরে আবদ্ধ থাকবেন তাদের প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে এলাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর