মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

মহাসড়কে জিরো ট্রলারেন্স

মাদক পাচার ও চাঁদাবাজি রোধে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

মহাসড়কে অপরাধ দমনে ‘জিরো ট্রলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে হাইওয়ে পুলিশ। দেশের মাদক পাচারের অন্যতম রুট ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধেও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদক পাচারের সবচেয়ে বড় রুট হিসেবে মনে করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে। তাই মাদক পাচার রোধে এ দুই মহাসড়কে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চালানো হচ্ছে নিয়মিত অভিযান। এ ছাড়া মহাসড়কে চাঁদাবাজি রোধ করতে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট হাইওয়ে থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কক্সবাজার থেকে বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে ইয়াবা পাচার। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিনই বড় বড় ইয়াবার চালান যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এ দুই রুট দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পাচারের সময় গত দুই মাসে রেকর্ড পরিমাণ ইয়াবাও উদ্ধার হয়েছে। করোনাকালে ইয়াবা পাচার বৃদ্ধি পাওয়ার খবর পেয়ে মাদক পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হাইওয়ে থানাগুলোকে। এ ছাড়া জিপির নামে চাঁদাবাজি ও শ্রমিক সংগঠন এবং মালিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে গণপরিবহন চলাচল, পণ্যবাহী যানবাহনগুলোর নির্বিঘ্নে চলাচল এবং চালকদের মাঝে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ চালকদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে। যাত্রী হয়রানি রোধেও নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের দোহাজারি হাইওয়ে থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত বলেন, মহাসড়ক কেন্দ্রিক অপরাধ দমনে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ইয়াবা পাচার রোধ করতে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। মহাসড়কে চাঁদাবাজি হয় এমন স্পটগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে।

 আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আরব আলী বাচা বলেন, ‘করোনাকালে পরিবহনগুলোর কাছ থেকে জিপি আদায় বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জিপি আদায় করা হবে না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর