বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
অনুমোদন ছাড়া ও বেশি দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি

চার প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারীকালে মানুষের দুর্ভোগকে পুঁজি করে কয়েকগুণ বেশি দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভাড়া ও বিক্রির অপরাধে এক নার্সিংহোমসহ চার প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দিনব্যাপী রাজধানীর গুলশান ও তেজগাঁও এলাকায় র‌্যাব-৩ এর নেতৃত্বে পৃথকভাবে এসব অভিযান চলে। র‌্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান-২ এর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসের পাশে মায়শা কেয়ার লিমিটেড নামক একটি নার্সিংহোম কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রসূতি নারী কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের সেবা দেওয়ার কাজ করে। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাবের সুযোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ করে।

 পরবর্তীতে করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের আইসিইউ সেবা দেওয়াসহ অক্সিজেন সিলিন্ডার ভাড়া এবং বিক্রির প্রচার-প্রচারণা চালায়। অপরাধের দায় স্বীকার করলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহিবুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ম্যানেজার কাম অ্যাকাউন্ট্যান্ট শাহাদাত হাবিবকে চার লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া অর্ধশত অনুমোদনহীন অক্সিজেন সিলিন্ডার জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে, রাজধানীর তেজগাঁও কলোনিবাজার মার্কেটে (হকার্স মার্কেট) মঙ্গলবার বিকালে অভিযান চালিয়ে একটি নাম সর্বস্ব সেলুনসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু আরও বলেন, অভিযুক্ত মেসার্স তাহের ইন্টারপ্রাইজ মূলত এলপি গ্যাসের ব্যবসা করলেও করোনাকালে ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারও বিক্রিসহ ভাড়ায় সরবরাহ করছিল। অপরাধের দায় স্বীকার করলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবু তাহের কুরাইসিকে পাঁচ লাখ টাকা ও সহযোগী ইয়াসিনকে তিন লাখ জরিমানা করা হয়।

তেজগাঁও কলোনি বাজারের পাশের একটি সেলুনে বিক্রির জন্য অবৈধভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ করায় সেলুন মালিক গোকুলকে ভোক্তা অধিকার আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া একই মার্কেটের এসএসকে এন্টারপ্রাইজ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক শাকিলকে একই অভিযোগে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেকসহ তিন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর