শিরোনাম
বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
কারাগারে অমিত মুহুরী খুন

নেপথ্যে উঠে আসছে অনেকের নাম

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে খুন হওয়া ১৭ মামলার আসামি অমিত মুহুরীর খুনের নেপথ্যে উঠে আসছে অনেক রাঘববোয়ালের নাম। হত্যা মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি রিপন নাথ ছাড়াও পরিকল্পনা ও অর্থযোগানের পেছনে উঠে এসেছে একাধিক ব্যক্তির নাম। যার মধ্যে রয়েছে যুবলীগের এক শীর্ষসহ ও তার কয়েকজন অনুসারী।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আজিজ আহমেদ বলেন, ‘এ হত্যা মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। তদন্তে অনেক কিছু উঠে এসেছে। অনেকের নামও এসেছে। তদন্তে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে খুন হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী হত্যা মামলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে পুলিশের কাছে। তাতে উঠে এসেছে প্রভাবশালী এক যুবলীগ নেতা যিনি বর্তমানে বিদেশে পলাতক রয়েছে। মূলত যুবলীগের এ নেতার সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই খুনের পরিকল্পনা করা হয় অমিত মুহুরীকে। এক সময় অমিত মুহুরী এ নেতার অনুসারী ছিলেন। কিন্তু অমিত কারাগারে যাওয়ার পর ওই নেতার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। অমিত কারাগার থেকে জামিনে বের হলে ওই নেতার অবৈধ সাম্রাজ্যে হানা দেওয়ার শঙ্কা ছিল। তাই কারাগার থেকে বের হওয়ার আগেই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ওই নেতার অনুসারী ‘জ’ অধ্যাক্ষরের এক ব্যক্তিকে। খুনের আগে ওই যুবলীগ নেতার বাগান বাড়িতে একাধিক বৈঠকও হয়। এদিকে খুন নিয়ে রহস্যজনকভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে অমিতের পরিবার। খুনের পর পর অমিত মুহুরীর পরিবার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকলেও হঠাৎ করে তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে মামলার তদন্ত সংশ্লিদের সঙ্গে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, ‘অমিতের পরিবারের কেউ মামলার তদন্তে সহযোগিতা করছে না। তাদের বেশ কয়েকবার আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ একটি বারের জন্যও আসেনি।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ মে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে খুন হন রেলের দরপত্র নিয়ে জোড়া খুনসহ অন্তত ১৭টি মামলার আসামি অমিত মুহুরী। এ ঘটনায় কারাগারের জেলার নাসির আহমেদ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাতে আসামি করা হয় রিপন নাথকে। নিহত অমিত মুহুরীর বিরুদ্ধে হত্যা, পুলিশের ওপর হামলাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইমরানুল করিম ইমনকে খুন করে গ্রেফতার হন অমিত। তারপর থেকেই অমিত কারাগারে ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর