বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
রেড জোন নিয়ে হচ্ছেটা কী

চট্টগ্রামে কেউ মানছেই না বিধি নিষেধ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কেউ মানছেই না বিধি নিষেধ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথম রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয় ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড। মঙ্গলবার রাত ১২টায় চসিক এবং প্রশাসন মিলে এলাকার ১৪টি প্রবেশপথের সব বন্ধসহ লকডাউন কার্যকর শুরু করে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। কিন্তু লকডাউন কার্যকর করার ৬ ঘণ্টা পার না হতেই বাঁশের বাঁধ উপেক্ষা করে গার্মেন্ট শ্রমিকরা উত্তর কাট্টলীর কর্নেল হাট বাজার সংলগ্ন ‘কর্নেল জোনস’ রোডসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢুকে পড়ে লকডাউন এলাকায়। ফলে তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিবেশ। পরে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  লকডাউন এলাকার ভিতরেই গার্মেন্ট খোলা রাখায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

 কিন্তু প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, লকডাউনের আগে বলা হয়েছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল বিসিক, ফার্মেসি ও ব্যাংক খোলা রাখা হবে। বন্ধ থাকবে গার্মেন্ট। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ভোর থেকেই গার্মেন্ট কর্মীরা দলে দলে প্রবেশ করতে থাকে। বিভিন্ন প্রবেশমুখে বাঁশের বাঁধ উপচে লকডাউন এলাকায় প্রবেশ করে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন মঞ্জু বলেন, ‘ভোরে কিছু গার্মেন্ট শ্রমিক বাঁশ টপকিয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু পরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন হিসাবে হয়তো অনেকে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এখন বিভিন্ন পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রশাসনের লোকজন তদারকির দায়িত্বে আছেন।’

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রথম দিন অনেকেই বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করে ফেলেছে। এখন আমাদের আওতাধীন পয়েন্টগুলোতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। এখন আর কেউ প্রবেশ-বের হতে পারবে না।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘রেড জোন মানতেই হবে। না হয় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সাময়িক কষ্ট হলেও সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’

জানা যায়, চট্টগ্রামের প্রথম রেড জোন বাস্তবায়ন হওয়া এই ওয়ার্ডে ছোট-বড় মিলে প্রায় দেড়শটি কলকারখানা আছে। এর মধ্যে আছে প্রায় ৬৫টি গার্মেন্ট। এই ওয়ার্ডে ২৫ হাজার পরিবারে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে অন্তত ১ লাখ বাসিন্দা আছে। ঘনবসতিপূর্ণ এই ওয়ার্ডে ১৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মারা যান ৭ জন। তাছাড়া অন্তত আরও ৭ জন করোনা উপসর্গে মারা গেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর