রাজশাহী অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নাম দিয়ে প্রতারণায় নেমেছে একটি চক্র। দেশের সব উপজেলায় একটি করে এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রচার করে ওই চক্রটি রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, নওগাঁসহ উত্তরাঞ্চলজুড়ে জাল বিস্তার করার চেষ্টা করছে। আর এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে রাজশাহীর উচ্চশিক্ষিতদের ম্যানেজ করে নিজ এলাকায় জমি সংগ্রহ করার পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগেরও চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে ডিও লেটার নিতে তারা তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজশাহীর এমপিরা। রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘আমার কাছেও কয়েকজন দুই-তিন মাস ধরে ঘুরাঘুরি করছে ডিও লেটারের জন্য। আমার দুই উপজেলায় দুটি মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য একাধিক আবেদন নিয়ে ঘুরছেন অনেকেই। অথচ সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু তারপরও কিছু লোক এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমার কাছে ঘুরছে। কেউ কেউ এরই মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীও নিয়োগ দিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু কারা এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমতি দিল, সেটি তদন্ত করে দেখা দরকার।’ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান সরকার থেকে কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এমনকি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কোনো প্রকল্প শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেই। এ বিষয়টি দুটি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি।
কিন্তু তারপরও প্রতিষ্ঠান খোলার নামে নিরীহ মানুষকে কেউ কেউ পুঁজি করছেন। জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে ডিও দাবি করছেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।