বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ভ্যাট সুবিধা প্রত্যাহারে বিপাকে পড়বে মোটরসাইকেল শিল্প

দেশীয় শিল্পের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে মোটরসাইকেল ও এর যন্ত্রাংশ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বা ভ্যাট (মূসক) অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ না বাড়ানোয় হুমকির মুখে পড়ছে দেশীয় মোটরসাইকেল শিল্প। করোনাকালে এই সিদ্ধান্তকে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে মনে করছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, দেশীয় মোটরসাইকেলকে আমদানিকৃত মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাজারে টিকে থাকতে হয়। এই সিদ্ধান্তটি এমন সময় নেওয়া হলো যখন বাংলাদেশে তৈরি মোটরসাইকেল বিশ্ববাজারে রপ্তানি শুরু হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারেও দাম কমেছে। এই অবস্থায় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি আমদানি করা মোটরসাইকেলের প্রসার ঘটবে এবং দেশীয় মোটরসাইকেল শিল্পের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। এই খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ব্যাহত হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই কর প্রস্তাব প্রত্যহারের অনুরাধে জানিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠিও পাঠিয়েছে মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাফিজুর রহমান খান বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ৪.৪ অনুযায়ী অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতসমূহে প্রদত্ত বিশেষ প্রণোদনা ও শুল্ক-কর অব্যাহতি প্রদান করা হবে এবং এ ধরনের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে উচ্চ অগ্রাধিকার শিল্প খাত প্রাধান্য পাবে যার অন্যতম দাবিদার  মোটরসাইকেল উৎপাদন শিল্প। এ ধারাবাহিকতায় এ শিল্পে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্ক, ভ্যাট ও কর অব্যাহতি প্রদান করে আসছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে এ শিল্প এখন মারাত্মক হুমকির মুখে।

বিগত দুই মাসেই এ শিল্পে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা যা আগামী ১ বছরে ৭২০০ কোটি টাকা হতে পারে। ফলে, প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এখন অনিশ্চিতার মুখে এবং এ শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ৫ লাখ লোক এখন জীবিকা হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত ও দিশাহারা। ফলে সরকারের প্রত্যক্ষ নীতি সহায়তা ছাড়া এ খাত টিকিয়ে রাখাই এখন অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর