শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠি

প্রণোদনা না পেলে বন্ধ হবে অসংখ্য ব্রোকারেজ হাউস

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বব্যাপী চলমান কভিড-১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া দেশের শিল্পসহ অন্যান্য খাতের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এই প্যাকেজ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তুএই প্যাকেজের কোনো বরাদ্দ শেয়ারবাজারের জন্য রাখা হয়নি। এমনকি প্রস্তাবিত বাজেটেও এ-সংক্রান্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। টানা দুই মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর খোলা হলেও শেয়ারবাজারের মন্দা ভাব কাটেনি। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে শিল্প খাতের মতো প্রণোদনা চেয়েছেন মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

চিঠিতে বলা হয়, লাভ তো দূরের কথা, ব্রোকারেজ হাউসগুলো বর্তমানে তাদের পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না। ফলে সরকার প্রণোদনা না দিলে সামনের দিনগুলোতে অসংখ্য ব্রোকারেজ হাউস বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বহুসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিহারা হবেন। এ জন্য প্রণোদনা প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

এতে বলা হয়, শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো চালু রাখতে ৪ শতাংশ সুদে অন্তত ছয় মাসের পরিচালন ব্যয়ের সমপরিমাণ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে ঋণ চায় তারা। পরবর্তী সময়ে ৪ শতাংশ সুদে মাসিক কিস্তি হিসেবে এ টাকা পরিশোধ করবে নিজ নিজ ব্রোকারেজ হাউস কর্তৃপক্ষ। এই অর্থ দিয়ে ব্র্রোকারেজ হাউসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয় চিঠিতে।

বিএমবিএ সভাপতি সায়েদুর রহমান ওই চিঠিতে লিখেছেন, সরকার প্রণোদনা দিলে সেটি দিয়ে চলতি ২০২০ সালের ডিসেম্বর অবধি পর্যন্ত কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে। একই সঙ্গে এসব ব্রোকারেজ হাউসের অনুকূলে থাকা ঋণের কিস্তিও চলতি বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমবিএর সভাপতি সায়েদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা বাজেটের আগেই চিঠি দিয়েছি। শেয়ারবাজারের অবস্থা তো আগেই খারাপ। এরপর টানা ছুটি ছিল। এখনো লেনদেন খুবই কম। ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও দিতে পারছি না। এ জন্য সরকারের সহায়তা না পেলে আমরা তো হাউসগুলো চালাতে পারব না। এতে বহু মানুষ কর্মও হারাবে। বর্তমানে দেশে ২৫০টি ব্রোকারেজ হাউস রয়েছে। এসব হাউসে অন্তত ১৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। আর মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে ৬৩টা। এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন অন্তত আরও ১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।’

তবে অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে অন্য কোনো খাতকে আর সংযুক্ত করা হয়তো সম্ভব হবে না। আবার নতুন করে আরও কোনো প্যাকেজ ঘোষণা করাও কঠিন হবে। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর