রবিবার, ২১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রয়োজনের তুলনায় পরীক্ষার সক্ষমতা কম

রংপুর

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ দিনে শতাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেয়ে অন্যান্য রোগে মৃত্যুও সংখ্যা বেড়েছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। হাতে গোনা দু-একজন বাদে অধিকাংশ চিকিৎসকই চেম্বারে এখনো রোগী দেখছেন না। রমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিৎিকসকদের একাংশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি। এছাড়া সাধারণ মৃত্যুও হারও বেড়েছে কয়েক গুণ। অপরদিকে বিভাগীয় নগরী রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে ১৮৮ জনের। কিন্তু যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে তাতে কমপক্ষে ৪০০ জনের করোনা পরীক্ষা প্রয়োজন। দ্রুত পরীক্ষার আওতা বাড়ানো না হলে নিকট ভবিষ্যতে ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে এমনটা আশঙ্কা করছেন খোদ স্বাস্থ্য বিভাগ ও রংপুরের সুধী মহল। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল  থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজে পিসিআর মেশিনে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। প্রতিদিন এখানে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফল পেতে অনেক সময় সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়। বিভাগে রংপুর ও দিনাজপুরে শুধু করোনা পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। রংপুরের চেয়ে দিনাজপুরে করোনা পরীক্ষার হার কিছুটা সীমিত হওয়ায় আশপাশের জেলাগুলো থেকে সন্দেহভাজন রোগীরা রংপুরে আসেন করোনা পরীক্ষা করাতে। ফলে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ জনের করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন হয়।  কিন্ত এখানে মাত্র ১৮৮ জনের পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। অনেক রোগীকে একদিন আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে হয় পরীক্ষার ফলাফলের জন্য।

 রমেক হাসপাতালের সর্দার রুমের দায়িত্বে থাকা লাশ হস্তান্তরকারী সর্দার আব্দুর রশিদ জানান, আগে হাসপাতালে ৫ থেকে ৬ জন রোগীর মৃত্যু হতো। এখন গড়ে ১০ জনের বেশি রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।  সূত্র মতে গত ১০ দিনে স্ট্রোক, হার্ট, কিডনিসহ বিভিন্নরোগে আক্রান্ত ১০০-রও বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কবরস্থানগুলোতে লাশ দাফনের সংখ্যাও বেড়েছে। আগে যেখানে এক থেকে দুজনের লাশ দাফন হতো, এখন প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি লাশ দাফন হচ্ছে। মৃতদের অধিকাংশই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক ও কবর খোদক রাজু আহমেদ বলেন, আগে যেখানে একটি-দুটি লাশ দাফন হত। এখন কোনো কোনো দিন ৬টি পর্যন্ত লাশ দাফন করতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর