রবিবার, ২১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

আন্তর্জাতিক যোগ দিবস আজ

ইমিউনিটি বাড়াতে ‘বাড়িতেই যোগচর্চা’র তাগিদ

বিশেষ প্রতিনিধি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই দুঃসময়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যোগচর্র্চাই হতে পারে বড় সহায়। করোনায় আক্রান্তদের দ্রুত নিরাময়ের ক্ষেত্রে ফুসফুস সংক্রমণের বিষয়টি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানো এবং ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ইমিউনিটি গড়ে তুলতে ‘বাড়িতেই যোগচর্চা’র তাগিদ দিয়ে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হচ্ছে আজ। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার যোগ দিবসে বাইরে উন্মুক্ত প্রান্তরে বড় কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি। এবার করোনাভাইরাস কবলিত বিশ্বে ষষ্ঠবারের মতো আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসাবে ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।

এরপর থেকে গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশেও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন বৃহত্তর পরিসরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে আসছে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনাভাইরাসের কারণে এবার খোলা প্রান্তরে বহুজনের সম্মিলনের সুযোগ রহিত। তাই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস সামনে রেখে জনসমাবেশ এড়িয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ইমিউনিটি বুস্টিং থ্রো ইয়োগা’ শিরোনামে সপ্তাহব্যাপী অনলাইন যোগ কর্মশালা চালু হয়। এই কর্মশালার ভিডিওচিত্র বর্তমানে ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে ঘরে যোগচর্চা করে নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। 

যোগচর্চা এই উপমহাদেশের কয়েক হাজার বছরের পুরনো বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি। অধিকাংশ অভিজ্ঞ ডাক্তার এখন ওষুধের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে যোগ ব্যায়াম, প্রাণায়াম ও মেডিটেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার এক ভিডিও বার্তায় শারীরিক দূরত্বের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে পালন করার জন্য জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের বিষয় ভাবনা হলো, বাড়িতে যোগ, পরিবারের সঙ্গে যোগ।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ইয়োগা কার্যক্রমের চিফ ইন্সস্ট্রাক্টর আহমেদ শরীফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মহামারী মোকাবিলায় ইমিউনিটি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আর এই ইমিউনিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রাণায়াম, যোগচর্চা ও মেডিটেশন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আপনার ইমিউন সিস্টেম যত শক্তিশালী হবে ততই আপনি সুস্থ থাকবেন। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে। এই যোগচর্চার মধ্য দিয়ে আপনার জীবনে ইতিবাচক বিষয়গুলোর সংযুক্তি ঘটবে। নেতিবাচক বিষয়গুলো আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে। আপনি সবসময় থাকবেন নিরোগ, প্রফুল্ল ও প্রাণবন্ত।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর