সোমবার, ২২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

পুরো জেলাকে ৪ সপ্তাহের জন্য লকডাউনের প্রস্তাব

রোমান চৌধুরী সুমন, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হয়েছেন নতুন করে আরও ৭ জন। মৃত্যুর এ সংখ্যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৭ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন সদরে একজন, বাকি ৬ জন রূপগঞ্জ উপজেলায়। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১১৩ জন। এ নিয়ে জেলায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন মোট ৪ হাজার ৬৪৩ জন। জেলায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৭৪ জন।  গতকাল সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে নারাণগঞ্জে করোনার ভয়াবহতায় জেলার শহরের ভিতরে তিন রঙের জোন না করে বরং পুরো শহর বা জেলার হটস্পটগুলোকে কঠোরভাবে চার সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন করার প্রস্তাব উঠে এসেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটি’র (এফডিএসআর) প্রস্তাবনায়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সময়ে মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকদের এই সংগঠনটি। গত শনিবার বিকালে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি। করোনা মহামারী মোকাবিলায় পরামর্শ ও কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে এই অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংগঠনটি তাদের প্রস্তাবনায় বলছে, নারায়ণগঞ্জসহ যেসব জেলা বা শহর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সেসব জেলা বা শহরকে চার সপ্তাহের জন্য লকডাউনের প্রস্তাব করা। এ সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। দরিদ্র এবং চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশী মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যতটা সম্ভব টেস্ট করতে হবে। চার সপ্তাহের শেষদিকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে লকডাউনের পরবর্তী সম্প্রসারণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সংগঠনটির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- করোনা মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করে তাদের সুপারিশ সময় বেঁধে দিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সবধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, করোনা মোকাবিলায় সফল দেশগুলো থেকে প্রয়োজনে সহায়তা নিতে হবে, কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে যেসব চিকিৎসকরা ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের প্রণোদনার অর্থ দ্রুত প্রদান করতে হবে। কভিড-১৯ রোগে মৃত্যুবরণকারী বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্যও প্রণোদনা প্রদান, কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার লক্ষ্যে ‘চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মী সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন। ‘হেলথ পুলিশ’ গঠনেরও দাবি জানায় সংগঠনটি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর