সোমবার, ২২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কঠোর লকডাউন হাতে পৌঁছাচ্ছে ত্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা ১২ দিনের মতো রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় চলছে পরীক্ষামূলক লকডাউন। ৯ জুন মধ্যরাত থেকে এলাকাটিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় লকডাউন ঘোষণা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এখানকার লকডাউনের অভিজ্ঞতা নিয়ে করোনা মোকাবিলায় পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চায় সরকার। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। রাজাবাজারের লকডাউনের প্রথম দুই দিন লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে পড়তে হয়েছিল বিপাকে। শুরুতে বাসিন্দারা যে যেভাবে পারছিলেন প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে যাওয়া-আসা করতে ব্যস্ত ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে দফায় দফায় সিদ্ধান্ত বদলায় প্রশাসন। বাসিন্দাদের অহেতুক প্রবেশ-বাইরে শুরুতে সহনশীল হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত কঠোর হতে বাধ্য হয় তারা।

এতে বাসিন্দাদের মাঝে শৃঙ্খলা ফিরছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্ব পালনকারীরা। পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবী ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলছেন, দেশে প্রায় আড়াই মাস ধরে চলা সাধারণ ছুটির আড়ালে অঘোষিত লকডাউন আর পূর্ব রাজাবাজারে বর্তমানে বিদ্যমান লকডাউনের মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। আগে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং জনসমাগম এড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা ছাড়া কিছুই ছিল না। আর বর্তমানে পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউনে এলাকার বাইরে যাওয়া এবং প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাসিন্দারাও হঠাৎ এমন পরিবর্তনে অভ্যস্ত না থাকায় প্রথম প্রথম অজুহাত আর ফাঁকফোকর গলিয়ে এলাকার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেসব বিষয়কে অভিজ্ঞতা হিসেবে নিয়ে প্রশাসন বেশকিছু পরিবর্তন নিশ্চিত করায় লকডাউনে অভ্যস্ত হয়েছেন বাসিন্দারা।

ত্রাণ বিতরন : হাতিরপুল, গ্রিন রোড, সেন্ট্রাল রোড, কাঁঠালবাগান, ফ্রি স্কুল স্ট্রিটসহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই এ ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেন কাউন্সিলর নিজেই। বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ বন্ধ থাকলেও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্র ভিন্ন। প্রায় প্রতিদিনই দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকার অন্তত ৩ হাজার পরিবারের ঘরে ঘরে আমরা ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। এ ছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিইসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছি। এখনো করে যাচ্ছি।’ ত্রাণ বিতরণকালে কাউন্সিলর বাবুল বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রের নির্দেশে ও পরামর্শে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর