বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, করোনা মহামারীতেও বিএনপির মানবিক কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীনরা বাধা দিচ্ছে, হামলা চালাচ্ছে। সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীনদের হামলা ঘটনার নিন্দা জানাই। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস দুর্যোগের সময় দেশে যখন গরিব ও ছিন্নমূল মানুষ দুই মুঠো ভাতের জন্য হাহাকার করছে তখন ক্ষুধার্ত ও নিরন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় সেই মানবিক কাজটিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না সরকার। তারা দলীয় লোকজন দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হিংস্রতার থাবা বিস্তার করছে, নেতা-কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের এ হামলার ঘটনা অশুভ ইঙ্গিতের ইশারা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। আমরা এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, নিরন্ন মানুষকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দ্বারা সাহায্যের মহৎ উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতেই সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এটি দুঃশাসনের নজির। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন তিনি।বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রবিবার সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলীম, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকীন আহমেদ চিশতি, সদস্য আলেম এলাহী ও মহিলা দল নেত্রী নুরজাহান পারভীন ঝর্নার নেতৃত্বে শ্যামনগর উপজেলায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে আকস্মিকভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে ছাত্রদলের রাসেল আহমেদ, কৃষক দলের মাসুদ আহমেদ, আনিস আলম, সালাম মিয়া, আজিজুল হক, দুলু খন্দকারসহ ১২ জন আহত হন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জের মহিলা দল নেত্রী আয়শা দীনার নেতৃত্বে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালেও একই কায়দায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
