মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

রাসিকের নতুন রাস্তা পিলারসহ ভেঙে পড়ল ড্রেনে

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের একটি নতুন রাস্তা ও রাস্তার পাশের গার্ডার ওয়াল ভেঙে ড্রেনের মধ্যে পড়ে গেছে। দুদিন আগে সামান্য বৃষ্টিতেই এ ঘটনাটি ঘটে। এনিয়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। রাস্তা ও ড্রেনের পাশের গার্ডার ওয়ালটির নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি রাসিক কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে নবনির্মিত পিলারসহ রাস্তা ভেঙে ড্রেনের মধ্যে পড়ে যায়। গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকা থেকে রাস্তাটি শুরু হয়ে নগরীর সিটি বাইপাস হাটের কাছে গিয়ে শেষ হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার এই রাস্তাটি তৈরি করা হয় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি চলাচলের জন্য। এই রাস্তাটির শুরতেই নগরীর শিরোইল এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামের পাশে প্রায় ৪০ ফুট ভেঙে ড্রেনের মধ্যে পড়ে গেছে। সঙ্গে নতুন নির্মাণ করা ড্রেনের পাশের গার্ডার ওয়াল ভেঙে পড়ে আছে ড্রেনের মাঝে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন বলেন, ‘গত দুই দিন আগে বৃষ্টির পানিতে রাস্তাটি পিলারসহ ভেঙে ড্রেনের মধ্যে পড়ে যায়। এরপর থেকে সেদিক দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি যাতায়াতের জন্যই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ভেঙে পড়ে যাওয়ায় এখন আর কোনো যানবাহনই যেতে পারছে না।

নিম্নমানের কাজের কারণে রাস্তাটি এভাবে ভেঙে পড়েছে ড্রেনের মধ্যে। অথচ ড্রেনের পাশে গার্ডার ওয়াল আছে। কিন্তু রাস্তায় সঠিক মানের খোয়া ও পাথর না দেওয়ায় পানি ঢুকে সেটি ভেঙে পড়েছে।’

রাসিক সূত্র মতে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। কাজ পান ঢাকার বিনিময় কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে কাজটি করেন নগরীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আজিজুল কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কয়েকজন কাউন্সিলর মিলে কাজটি ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে আজিজুল কনস্ট্রাকশনের কাছে বিক্রি করেন বলেও অভিযোগ আছে। ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে এই রাস্তাটির কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। এরই মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলন করেছেন ঠিকাদার।

স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, ‘রাস্তাটির নিম্নমানের কাজ হওয়া নিয়ে প্রায় ৬ মাস আগে অভিযোগ করেছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো সুরাহা করেনি। এরই মধ্যে রাস্তাটি ভেঙে পড়ে গেছে। সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটেছে।’ তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই কাজটির ভালো করে তদারক করা হলে এভাবে পিলারসহ রাস্তা ভেঙে ড্রেনের মধ্যে পড়ত না। আমাদের মানুষের কথাও শুনতে হতো না।’

রাসিকের দায়িত্বরত প্রকৌশলী ও প্রকল্পটির পরিচালক নূরুল ইসলাম তুষার বলেন, ‘রাস্তাটি ভেঙে গেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিকাদারকেই পুনরায় কাজটি করে দিতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর